বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বেঙ্গালুরুতে এক তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও কিছুদিন আগেই স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার তদন্ত করতে নেমে মূল চক্রের হদিশ পায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (RAB)। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা তরুণী বাংলাদেশের (bangladesh) এবং সে দেশ থেকে ভারতে (india) নারী পাচারকারীর মূল পাণ্ডা হল আশরাফুল ইসলাম ওরফে বস রাফি (rafi)।
বেঙ্গালুরুতে তরুণীর উপর হওয়ার নির্যাতনের তদন্ত করতে গিয়ে বড় চক্রের খোঁজ পায় RAB। জানতে পারে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫০০ জন মেয়েকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করা হত। বেঙ্গালুরুর নির্যাতিতা তরুণীও পাচার হয়েই ভারতে এসেছিলেন।
ঢাকার কারওয়ানবাজারে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে RAB-এর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কমান্ডার খন্দকার আল মইন জানান, বাংলাদেশ থেকে ভারতে নারী পাচার চক্রের মূল পান্ডা আশরাফুল। গত ৮ বছর ধরে সে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ থকে ভারতে অবাধেই সে যাতায়াত করত বলেও খবর।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে তরুণীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচারের কাজ চালাতো এরা। রাফির সহযোগী জনৈক টিকটক হৃদয় বাবু সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে মডেলিংয়ের প্রলোভন, পাশাপাশি বিভিন্ন সুপার মার্কেট ও ভারতে চাকরির লোভ দেখিয়ে রাফির নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেয়েদের ভারতে পাচার করা হত। এমনকি রাফি স্বীকার করেছেন, সে প্রায় ৫০০ মেয়েকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করেছে।
RAB-এর আধিকারিক জানিয়েছেন, ধৃতদের জেরা করলে আরও অনেক চক্রের হদিশ মিলতে পারে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় ৫০ জন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে ইতিমধ্যেই বস রাফি এবং সাহিদা বেহম ওরফে ম্যাডাম সাহিদা, ইসমাইল সর্দার ও আব্দুর রহমান শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে।