রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় বসন্ত উৎসবে চললো অশ্লীল কর্মকাণ্ড, নিন্দার ঝড় উঠল সোশ্যাল মিডিয়ায়

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রবি ঠাকুরই (Rabindra Nath Tagore) প্রচলন করেছিলেন দোলযাত্রার । যা আজ সারা ভারতবর্ষে অন্যতম উৎসব (Festival)। আর  এই দোল উৎসব অত্যন্ত সাড়ম্বরের সহিত পালিত হয়  অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে। পাশাপাশি কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে  উৎসব পালিত হয়। বিশ্ব বরেণ্য কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের ছোঁয়ায় এই উৎসব আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।সম্প্রতি সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অত্যন্ত জনপ্রিয় কিছু গানকে বিকৃত ভাবে সুর দিয়ে এবং কিছু অশ্লীল শব্দ যুক্ত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছিলেন রোদ্দুর রায় নামক এক যুবক।

 

BASANTA UTSAV CELEBRATION

সমাজের বিভিন্ন মহলে ইতিমধ্যেই তাঁর এই অশ্লীলতা কার্যত নিন্দার ঝড় তুলেছে । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানকে কিভাবে বিকৃত করে তা সম্প্রচার করা হয়েছিল, তাকে অনেকেই সমর্থন করেছেন বলেও আমরা দেখেছি। শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে সেখানকার পড়ুয়াদের গলাতেও এই নোংরা শব্দ দিয়ে তৈরি গান শোনা গিয়েছে।যা রীতিমতো নিন্দার ঝড় তুলেছে।

এবার একই ছবি দেখা গেল কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দোল উৎসব উদযাপনের দিন।তবে সেই বিকৃত গান কে তাঁরা সমর্থন করেছেন এক ভিন্ন উপায়।রঙিন আবির দিয়ে চার তরুণী খোলা পিঠে লিখলেন সেই অশ্লীল শব্দগুলো।”বাঁড়া চাঁদ উঠেছিল গগনে”।সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই তা এখন মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা রীতিমতো এ নিয়ে নিন্দা পর্যন্ত করছেন।যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম জড়িয়ে রয়েছে, সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্দরে দাঁড়িয়ে কিভাবে এই ধরনের অশ্লীল কার্যকলাপ পড়ুয়ারা করতে পারেন? সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে বর্তমান প্রজন্মকে।

যদিও সেই চার তরুণীর পরিচয় এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অনেকেই বলেছেন, যদি ওই চার  তরুণীকে তারা সামনে পেত তাহলে  প্রশ্ন করতেন,কোন মানসিকতার দিক দিয়ে বিচার করে তারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলেন।যারা আগামীর ভবিষ্যৎ, তারা যদি একটু সচেতন না হয়, তাহলে আগামী প্রজন্ম তাদের থেকে কি শিখবে? তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে একাধিক অভিভাবকদের।

সম্পর্কিত খবর