বাংলাহান্ট ডেস্ক: ছোট থেকে মা-ই ধ্যান জ্ঞান প্রণীলের (Pronil)। আর রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও (Rachana Banerjee) দু চোখের মণি তাঁর আদরের ছেলে। তিনি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান। প্রতিদিন কাটে প্রচণ্ড ব্যস্ততায়। তার মধ্যেও ছেলেকে একা মানুষ করেছেন রচনা। এমনকি প্রণীলের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই নিজের তিক্ত বিয়েটাও টিকিয়ে রেখেছেন তিনি।
একমাত্র ছেলের জন্মদিন বলে কথা, আয়োজনে কোনো ত্রুটি রাখেননি রচনা। প্রণীলের জন্মদিন উপলক্ষে দুটি কেক আনা হয়েছিল। একটি চকোলেট কেক আর একটি রেড ভেলভেট কেক। এদিন মায়ের পাশাপাশি ছিলেন প্রণীলের দিদাও। কেক কেটে মা আর দিদাকে খাইয়ে দিয়েছে প্রণীল।
ছেলেকে কোলে টেনে আদর করে খাইয়েছেন রচনাও। জন্মদিনের দুপুর মানেই ভুরিভোজ। নিজে হাতে পঞ্চব্যঞ্জন দিয়ে থালা সাজিয়েছিলেন অভিনেত্রী। মাঝে চূড়ো করা ভাত, আলু, পটল, বেগুন, উচ্ছে, ফুলকপি আর মাছ নিয়ে পাঁচ রকম ভাজা। পাশের প্লেটে ইলিশ মাছ ভাজা, চাটনি, পায়েস, দই।
ছিল ফটোশুট পর্বও। হালকা নীল ডেনিম ড্রেসে আধুনিকা রচনা। পাশেই লাল সাদা টিশার্ট আর সাদা প্যান্টে দেখা গেল প্রণীলকে। ইতিমধ্যেই উচ্চতায় মা, দিদাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে সে। ছেলেকে পাশে নিয়ে গর্বিত মুখে লেন্সবন্দি হয়েছেন রচনা।
ছবিগুলি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমার বিশেষ ছোট্ট মানুষটাকে জানাই শুভ জন্মদিন। যে দিনে তুমি জন্মেছিলে ওটাই ছিল সেরা দিন। আমার চাঁদ, তারা, সূর্য, একজন মায়ের কাছে তুমিই সবথেকে বড় আশীর্বাদ। তোমার জন্মদিন খুব ভাল কাটুক এই প্রার্থনা করি।’
https://www.instagram.com/p/CfrjOpRhfgl/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
এর আগে রচনা জানিয়েছিলেন, তিনি বিবাহ বিচ্ছিন্না নন। তিনি এখনো বিবাহিত। তবে ‘হ্যাপিলি ম্যারেড’ নন। রচনা জানান, ছেলের জন্য বিয়ে ভাঙেননি তিনি। কারণ তিনি চান না প্রণীলকে ট্যাগ দেওয়া হোক যে সে ‘ডিভোর্সি’ মায়ের সন্তান। স্বামীর সঙ্গে যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়েই বিচ্ছেদের পথে এগোননি তিনি।