বাংলা হান্ট ডেস্ক : সদ্য রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন বাংলা দিদি নাম্বার ওয়ান তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। তাই অভিনেত্রী (Rachana Banerjee) হওয়ার পাশাপাশি রচনা (Rachana Banerjee) এখন তৃণমূল সাংসদ-ও। হুগলির এই তৃণমূল নেত্রী রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে মুখ খুললেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। কিন্তু পুজোর সময় তিনি বাইপাস সংলগ্ন বিলাসবহুল আবাশনে পুজো নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।
বিজয়া দশমীর পর বিশেষ বার্তা রচনার (Rachana Banerjee)
দুর্গাপুজো উপলক্ষে একাধিক জায়গায় পুজো উদ্বোধনে যাওয়ার ডাক আসে রচনার কাছে। তাছাড়া বাকি দিনগুলো নিজের আবাসনেই কাটান অভিনেত্রী। মা দুর্গার আগমনে চারদিকে ঢাকের আওয়াজ, মাইকে গান সবমিলিয়ে জমজমাট পরিবেশ থাকে চারিদিকে। প্রত্যেক বছরের মত এই বছরও পুজো এসেছে নিজের নিয়মে।
আরজিকর কান্ডের আবহে কলকাতা শহরে প্রতিবাদের সাথেই চলেছে উৎসব উদযাপন। তাই এবছর পুজোর আমেজ কিছুটা ফিকে। এখনও তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে ধর্মতলায় অনশনরত অবস্থায় বসে রয়েছেন চিকিৎসকরা। শরীর খারাপ হলেও নিজেদের দাবীতে অনড় তাঁরা। কিন্তু দেখতে দেখতে এবার শেষ হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজো।
এবার উমার বাড়ি যাওয়ার পালা। আবার আগামী বছরের অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকবেন আপামর বাঙালি। রবিবার সকালে বাইপাসের বিলাসবহুল আবাসন আরবানাতে সিঁদুর খেলতে দেখা গেল রচনাকে। লাল শাড়ি পরে দেবীবরণ এর পর গালে সিঁদুর মেখে সকলের সাথে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতে দেখা গেল রচনাকে।
আরও পড়ুন : নবরাত্রিতে একরত্তি ছেলেকে নিয়ে এ কি করলেন জিৎ? তাজ্জব বনে গেলেন সবাই
সবাইকে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি রচনা এদিন বলে ওঠেন, ‘আসছে বছর আবার হবে।’ অষ্টমীর অঞ্জলি দিয়ে পুজোর মধ্যেই অনশনকারীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সংসদ তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দোপাধ্যায়। এদিন অনশনকারীদের উদ্দেশ্যে রচনা বলেছিলেন, ‘পুজোর চারটে দিন কে কীভাবে কাটাবেন সেটা সম্পূর্ণ তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। যাঁরা অনশন করছেন তাঁদেরকে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানাব।’
View this post on Instagram
সেইসাথে এদিন রচনা বলেন, ‘তাঁদের জন্য খুবই খারাপ লাগছে। কারণ,পুজোর চারটে দিনের জন্যই তো সারা বছর সবাই অপেক্ষা করে থাকেন। ওনারা পুজোয় কোনও আনন্দ করতে পারছেন না। এত দিন ধরে অনশন করছেন খুবই খারাপ লাগছে। চাইব তাড়াতাড়ি যেন তাঁদের সমস্যার সমাধান হয়। পরিবারের কথা তাঁদের ভাবতে হবে। চাইব তাঁরা যেন পুজোর আমেজে ফেরেন। মা-বাবার কথা, পরিবারের কথা ভেবে তাঁদের পুজোর আমেজে ফেরা উচিত। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা আনন্দ করতে পারছেন না তাঁদের জন্য।’