বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। রচনা সিনেমায় অভিনয় করে যতটা না খ্যাতি অর্জন করেছেন, তার চেয়েও বেশি জনপ্রিয় হয়েছেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে। এই প্রথমবার ভোটের ময়দানে পা রেখেছিলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করেন রচনা।
গত তিন মাস ধরে লাগাতার প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। তবে রচনা যবে থেকে প্রচারের ময়দানে নেমেছেন, তবে থেকেই শুরু হয়েছে নানান বিতর্ক। রচনার বিভিন্ন মন্তব্যকে নিয়ে তৈরি হয়েছে মিম। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশেষে জয়লাভ করেছেন হুগলি (Hoogly) কেন্দ্র থেকে। এই জয়ের পিছনে তাঁর স্বামী প্রবাল বসুর ভূমিকা ঠিক কতটা?
আরোও পড়ুন : ৩০০০ জন TC নিয়োগ করতে চলেছে রেল! উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হলেই করা যাবে আবেদন
‘দিদি নম্বর ওয়ান’ এর (Didi No 1) ভবিষ্যতই বা কী? এসব কিছু নিয়ে তিনি মুখ খুলেছেন একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমের কাছে। কেমন লাগছে প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে জিতে? এই প্রশ্নের জবাবে মুখে পরিচিত হাসি নিয়ে রচনার (Rachana Banerjee) উত্তর, “খুবই ভালো লাগছে। তবে তৃণমূলের জয় সব থেকে ভালো লাগছে।”
আরোও পড়ুন : ঐতিহাসিক! তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সাথেই মোদী ছুঁয়ে ফেলবেন নেহেরুর এই রেকর্ড
গত তিন মাস ভোটের প্রচারে ব্যস্ত থাকায় সময় দিতে পারেননি ছেলেকে। তাই রচনা কলকাতায় ফিরে কিছুদিন সময় কাটাবেন ছেলের সাথে। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি গত কয়েক মাস ছেলেকে একদম সময় দিতে পারিনি। জেতার পর আমাকে ছেলে বলেছে, এবার মা আমাকে সময় দেবে।” রচনা লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে নেমেছিলেন স্বামী ও দাদাকে নিয়ে।
জেতার পর তিনি বলেন, “আমি এই জয়ের কৃতিত্ব দিচ্ছি প্রবাল (রচনার স্বামী) ও অশেষ পালকে (রচনার দাদা)। অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এই দুজন।” সাংসদ হওয়ার পর রচনা কী ভাবছেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ শোয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে? এই অনুষ্ঠানের ভক্তদের আশ্বস্ত করে রচনা জানিয়েছেন, অসুবিধা হবে না কিছুতেই। তিনি সমানভাবে দুই দিকের দায়িত্ব পালন করবেন। কষ্ট অবশ্যই হবে তার, তবে তিনি নিশ্চিত এই ব্যাপারে।