বাংলাহান্ট ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই কাজে ফিরেছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (rachana banerjee)। পরিবারে একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর কিছুদিনের জন্য শুটিং থেকে বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। নভেম্বরের মাঝামাঝি আচমকাই প্রয়াত হন রচনার বাবা রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। জীবনে হঠাৎ নেমে আসা এই দুর্যোগে বেসামাল হয়ে পড়েছিলেন রচনা। এখন কাজে ফিরেছেন ঠিকই, কিন্তু মন এখনো ভাল হয়নি তাঁর।
গত ১৫ নভেম্বর পিতৃহারা হন রচনা। শ্রাদ্ধের দুদিন পরেই ২৭ নভেম্বর ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ এর শুটিংয়ে ফেরেন তিনি। ক্যামেরার সামনে মুখে হাসি থাকলেও ক্যামেরা বন্ধ হলেই বাবার স্মৃতি ভিড় করে আসছে সঞ্চালিকার মনে। সম্প্রতি অনেকদিন পর নিজের শাড়ির বুটিক ‘রচনাস ক্রিয়েশনস’ এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া লাইভে এসেছিলেন তিনি।
লাইভের মাঝেই বাবার কথা মনে করে কান্নায় ভেঙে পড়েন রচনা। আজ তিনি যে জায়গায় পৌঁছেছেন সবটাই বাবার অনুপ্রেরণাতেই, জানান সঞ্চালিকা। পিতৃহারা হয়ে প্রথমটা দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। নাওয়া খাওয়া ভুলেছিলেন। রচনার জীবনে বাবা রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বন্ধু, পথপ্রদর্শকের মতো।
বাবার আদুরে মেয়ে ছিলেন তিনি। সেই মানুষটাকেই চিরদিনের মতো হারিয়ে ফেলে ভেঙে পড়েছিলেন রচনা। এমতাবস্থায় হাসিমুখে কাজে ফেরা সম্ভব ছিল না তাঁর কাছে। তবে বাবার কাছেই কাজে মনোযোগ দেওয়ার শিক্ষা পেয়েছিলেন রচনা, সেকথা মনে করেই ফের শুটিংয়ে ফেরেন তিনি।
কাজে ফেরার প্রথম দিনে চ্যানেলের তরফে লাইভ ভিডিও বার্তা দিয়ে সুখবর জানান রচনা। তিনি বলেন, “আপনারা সবাই জানেন এতদিন আমি কেন আসতে পারিনি। অনেকদিন পর আবার সেটে ফিরলাম। ঘরে ফিরে আসার মতোই। আশা করছি আবার সবাইকে আনন্দ দিতে পারব।”
সুদীপা চট্টোপাধ্যায় ও সৌরভ দাসকে ধন্যবাদ জানিয়েও রচনা বলেন, ওঁরা খুব ভালভাবে এতদিন সঞ্চালনার কাজ সামলেছেন। তবুও যারা তাঁকে মিস করেছেন তারা তাঁকে মেসেজ করেছেন। সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রচনা। শেষে রচনা বলেন, “মানসিক ভাবে আমি বিপর্যস্ত। কিন্তু কাজ করতেই হবে। জীবনে কোনো কিছুই থেমে থাকে না। দ্য শো মাস্ট গো অন। তাই আমিও ফিরলাম।”