বাংলাহান্ট ডেস্ক: সিঙ্গল মাদার নিয়ে একাধিক ছবি হয়েছে। তবে সিঙ্গল ফাদাররা এদিক থেকে একটু থেকে একটু পিছিয়েই রয়েছে। এর আগে ‘বাবা বেবি ও’তে এক সিঙ্গল ফাদারের কাহিনি দেখানো হয়েছিল। এবার ঘাটতি পূরণে নামলেন পরিচালক অভিজিৎ সেন। তিনি আনছেন ‘প্রজাপতি’। সিঙ্গল ফাদার এবং ছেলের জমাটি গল্পে প্রথম বার জুটি হিসাবে দেখা যাবে দেব এবং মিঠুন চক্রবর্তীকে।
ছেলে দেবকে একা হাতে বড় করেছেন বাবা মিঠুন। বুড়ো বয়সে মন চায় একটু সঙ্গ। কিন্তু ছেলে বিয়ে করতে নারাজ। এই নিয়ে খুনসুটি, আবেগ, হাসি কান্নায় ভরা ছবি প্রজাপতি। আগামী ২৩ ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে ছবিটি। তার আগে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rachana Banerjee) দিদি নাম্বার ওয়ানে প্রচারে এসেছিল প্রজাপতির টিম। রচনার সঙ্গে দেবের খুনসুটি ইতিমধ্যেই চর্চায়।
তবে ছবির মতো দিদি নাম্বার ওয়ানের পর্বও ছিল এদিন আবেগে পরিপূর্ণ। ছবিতে বাবা ছেলের রসায়নের কথা বলতে বলতে নিজের বাবার কথা মনে করে চোখ জলে ভরে ওঠে রচনার। গত বছরে বাবাকে হারিয়েছেন তিনি। কেটে গিয়েছে এক বছর। কিন্তু বাবার স্মৃতি চিরকালই রচনার মনে অমলিন হয়ে থাকবে।
একটি ভিডিওতে রচনা বলেন, তিনি বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে। তাই খুবই আদরের। মা রাগী ছিলেন বটে। মারধোরও খেয়েছেন। কিন্তু বাবার রাজকন্যা ছিলেন রচনা। মারধোর দূরের কথা, বকেনওনি কোনোদিন। বরং জীবনে চলার পথে মেয়ের মুখ্য গাইড হয়ে উঠেছিলেন তিনি। রচনা বলেন, তিনি যত সাফল্য পেয়েছেন, যত ভালবাসা পেয়েছেন সবটাই তাঁর বাবার দান।
বলতে বলতে চোখ জলে ভরে ওঠে রচনার। তিনি বলেন, বাবার হাত ধরে পথ চলা, বাবাকে সঙ্গে পাওয়া যে কত বড় আশীর্বাদ সেটা যাদের কাছে বাবা আছে তারাই বোঝে। জীবনে বাবা থাকা সত্যিই খুব ভাগ্যের। আর যাদের জীবন থেকে মানুষটা চলে গেছেন তারা বুঝবে চোখ থেকে জল কেন পড়ছে।
https://www.instagram.com/reel/Cmd_vQhoDwP/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৫ নভেম্বর পিতৃহারা হন রচনা। বাবাকে হারিয়ে হয়ে প্রথমটা দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। নাওয়া খাওয়া ভুলেছিলেন। রচনার জীবনে বাবা রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বন্ধু, পথপ্রদর্শকের মতো। বাবার আদুরে মেয়ে ছিলেন তিনি।
সেই মানুষটাকেই চিরদিনের মতো হারিয়ে ফেলে ভেঙে পড়েছিলেন রচনা। এমতাবস্থায় হাসিমুখে কাজে ফেরা সম্ভব ছিল না তাঁর কাছে। তবে বাবার কাছেই কাজে মনোযোগ দেওয়ার শিক্ষা পেয়েছিলেন রচনা, সেকথা মনে করেই ফের শুটিংয়ে ফেরেন তিনি।