বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুধু অভিনেত্রী নন, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rachana Banerjee) পরিচয় এখন সাংসদও। এবারের লোকসভা ভোটে হুগলি কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি। সদ্য দিল্লি গিয়ে শপথগ্রহণ করেছেন। এরপর থেকে তাঁর বেশিরভাগ সময়ই কাটছে হুগলিতে (Hooghly)। রথযাত্রার দিনও হুগলির গুপ্তিপাড়ায় উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। এবার নিজ লোকসভা কেন্দ্রের এক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বিশেষ উপহার দিলেন তিনি।
স্কুল পড়ুয়াদের বিশেষ উপহার সাংসদ রচনার (Rachana Banerjee)
ভোটে দাঁড়িয়েই রচনা বলেছিলেন তিনি জনগণের জন্য কাজ করতে চান। তারকা সাংসদ মানে ডুমুরের ফুল হয়ে থাকা নয়, বরং হুগলির (Hooghly) মানুষের কাজের মানুষ, কাছের মানুষ হয়ে উঠতে চান তিনি। এবার সাংসদ হয়ে নিজের কথা রাখা শুরু করলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী। হুগলির দাদপুরের হারিট হাইস্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বিরাট উদ্যোগ নিলেন রচনা।
জানা যাচ্ছে, হুগলি জেলার এই বিদ্যালয়ে (School) দীর্ঘদিন ধরে কোনও উপযুক্ত ল্যাবরেটরি ছিল না। যে কারণে সেখানে বিজ্ঞান বিভাগও চালু করা যাচ্ছিল না। এদিনে ল্যাবরেটরির অভাব, বিজ্ঞান বিভাগ না থাকার কারণে বহু পড়ুয়া ওই স্কুলে ভর্তি হতে চাইতেন না। সোমবার সেই বিদ্যালয়েই নতুন ল্যাবরেটরির উদ্বোধন করলেন হুগলির নব নির্বাচিত সাংসদ। এতদিনের অপেক্ষা শেষে ল্যাবরেটরি পাওয়ায় ভীষণ খুশি ছাত্রছাত্রীরা। এদিন নতুন ল্যাবের পাশাপাশি ওই স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগও চালু হয়ে গেল।
আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টের নির্দেশে কলকাতায় কমতে চলেছে ২৫০০ বাস! কবে থেকে? মাথায় হাত যাত্রীদের
এদিন দাদপুরের হারিট হাইস্কুলে নতুন ল্যাবের উদ্বোধনের সময় রচনা (Rachana Banerjee) ছাড়াও উপস্থিত ছিলে সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। পোলবা দাদপুর ব্লকের বিডিও জগদীশচন্দ্র বারুই, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা। এছাড়া স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা, পড়ুয়া, অভিভাবকরা। রচনা এদিন বলেন, ‘আমি তো সবে এসেছি। আমাকেও কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। আমার কাজ করার ইচ্ছা আছে। ছাত্রছাত্রীদের উন্নতির জন্য যা যা করার আমি করব’।
অন্যদিকে সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘এই বিদ্যালয়ের ল্যাবের জন্য বিধায়ক তহবিল থেকে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর আরও ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে’। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষ রতন কুমার পাল বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগ না থাকার কারণে অনেকেই ভর্তি হতে চাইতো না, যা আমাদের কাছে ভীষণ দুঃখের। এবার স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়েছে, সেই জন্য আমরা সবাই খুব খুশি’।