পিতৃহারা হওয়ার পর আবারো বড় ধাক্কা, ফের কাছের মানুষকে হারালেন রচনা

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ২০২১ সালটা কোনোদিনই ভুলতে পারবেন না রচনা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় (rachana banerjee)। গত বছরেই পিতৃহারা হয়েছেন তিনি। ছেলে বাদে জীবনের অন‍্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানুষটিকে হারিয়ে শোক বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। দীর্ঘদিন শুটিং থেকেও দূরে ছিলেন। বাবার শেষকৃত‍্যের পর ফের কাজে ফেরেন রচনা।

সবে মাত্র স্বাভাবিক জীবনে ফিরছিলেন, এর মাঝেই আরো এক খারাপ খবর পেলেন অভিনেত্রী। আবারো এক কাছের মানুষকে হারাতে হল তাঁকে। নতুন বছরও মন খারাপ সঙ্গে করে নিয়ে এল রচনার জন‍্য। মঙ্গলবার প্রয়াত হয়েছেন ওড়িয়া বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেতা মিহির দাস (mihir das)। পেশাগত সূত্রে আলাপ হওয়া মানুষটির সঙ্গে স্নেহমধুর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল রচনার।


সংবাদ মাধ‍্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, দীর্ঘদিনের পরিচয় তাঁদের। খুব কাছের মানুষ ছিলেন মিহির দাস। স্নেহ করতেন রচনাকে। একসঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তাঁরা। কাজও শিখেছেন তিনি প্রবীণ অভিনেতার কাছ থেকে। আচমকা এই খবরে তাই শোক বিহ্বল রচনা।

দীর্ঘদিন ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন অভিনেত্রী। কেরিয়ারের শুরুতে ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কিছুদিন কাজ করেছিলেন অভিনেত্রী। সে সময়ে মিহির দাসের সঙ্গে ‘গঙ্গা যমুনা’, ‘এক চিলতে সিঁদুর’ এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন রচনা। জানা যাচ্ছে, অনেকদিন ধরেই কিডনির সমস‍্যায় ভুগছিলেন মিহির দাস। মঙ্গলবার প্রয়াত হন তিনি।


প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর পিতৃহারা হন রচনা। বাবাকে হারিয়ে হয়ে প্রথমটা দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। নাওয়া খাওয়া ভুলেছিলেন। রচনার জীবনে বাবা রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বন্ধু, পথপ্রদর্শকের মতো। বাবার আদুরে মেয়ে ছিলেন তিনি।

সেই মানুষটাকেই চিরদিনের মতো হারিয়ে ফেলে ভেঙে পড়েছিলেন রচনা। এমতাবস্থায় হাসিমুখে কাজে ফেরা সম্ভব ছিল না তাঁর কাছে। তবে বাবার কাছেই কাজে মনোযোগ দেওয়ার শিক্ষা পেয়েছিলেন রচনা, সেকথা মনে করেই ফের শুটিংয়ে ফেরেন তিনি।

সম্পর্কিত খবর

X