বাংলাহান্ট ডেস্ক: শুটিংয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (rachana banerjee)। ব্যক্তিগত জীবনে বড় বিপর্যয়ের জন্য কিছুদিনের জন্য কাজ থেকে বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’এ (didi number one) তাঁকে ছাড়া চলতেই পারে না। কিছুদিনের জন্য তাই দূরে থাকলেও ফের ক্যামেরার সামনেই এসে দাঁড়ালেন রচনা।
গত ১৫ নভেম্বর থেকেই জীবনটা ওলটপালট হয়ে গিয়েছে রচনার। বাবাকে হারিয়েছেন তিনি। রচনার জীবনে বাবা রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বন্ধু, পথপ্রদর্শকের মতো। বাবার আদুরে মেয়ে ছিলেন তিনি। সেই মানুষটাকেই চিরদিনের মতো হারিয়ে ফেলে ভেঙে পড়েছিলেন রচনা। হাসিমুখে দিদি নাম্বার ওয়ানের সঞ্চালিকা হয়ে ওঠা সম্ভব ছিল না তাঁর কাছে।
মাত্র দু দিন আগেই বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের কাজ সম্পন্ন করেছেন রচনা। সেখানেও মলিন মুখে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। চরম পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে ম্লান মুখেই কাজে ফিরলেন তিনি। শনিবার থেকে দিদি নাম্বার ওয়ানের শুটিং শুরু করলেন রচনা। চ্যানেলের তরফে লাইভ ভিডিও বার্তা দিয়ে এই সুখবর জানিয়েছেন তিনি।
রচনা বলেন, “আপনারা সবাই জানেন এতদিন আমি কেন আসতে পারিনি। অনেকদিন পর আবার সেটে ফিরলাম। ঘরে ফিরে আসার মতোই। আশা করছি আবার সবাইকে আনন্দ দিতে পারব।” সুদীপা চট্টোপাধ্যায় ও সৌরভ দাসকে ধন্যবাদ জানিয়েও রচনা বলেন, ওঁরা খুব ভালভাবে এতদিন সঞ্চালনার কাজ সামলেছেন। তবুও যারা তাঁকে মিস করেছেন তারা তাঁকে মেসেজ করেছেন। সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রচনা।
শেষে রচনা বলেন, “মানসিক ভাবে আমি বিপর্যস্ত। কিন্তু কাজ করতেই হবে। জীবনে কোনো কিছুই থেমে থাকে না। দ্য শো মাস্ট গো অন। তাই আমিও ফিরলাম। আজ থেকে শুটিং করব।” আগামী সোমবার থেকেই ফের দিদি নাম্বার ওয়ানে রচনার সঞ্চালনা দেখতে পাওয়া যাবে বলে শোনা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের কাজ করেন রচনা। এদিন রচনার বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রও (madan mitra)। প্রয়াত রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির সামনে শ্রদ্ধাভরে প্রণাম করতে দেখা যায় তাঁকে। ছবিগুলি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘রচনা ব্যানার্জির স্বর্গীয় পিতার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে। “বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি ও সশ্রদ্ধ প্রণাম”।’ নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ছবিগুলি শেয়ার করেছেন তিনি।
মদন মিত্রর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। এদিন সাদামাটা শাড়িতে একেবারেই হালকা সাজে দেখা গেল রচনাকেও। হালকা বেগুনি রঙা শাড়ি ও নীল সাদা চেক ব্লাউজে ম্লান মুখে লেন্সবন্দি হন তিনি। রচনার সেই চেনা পরিচিত প্রাণোচ্ছ্বল হাসিটাই উধাও হয়ে গিয়েছে। দেখে মন খারাপ অনুরাগীদেরও।