বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) হুগলি থেকে দিদি নম্বর ওয়ান রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rachana Banerjee) টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই জোর কদমে ভোট প্রচারে নেমে পড়েছেন রচনা। আর প্রচারে বেরিয়ে হরেক রকম মন্তব্য করে চর্চার শিরোনামে তৃণমূলের এই তারকা প্রার্থী।
ভোটে জিতলে কী করবেন? কোনো প্রার্থী রাস্তা বানানোর প্রতিশ্রুতি দেন, কেউ বলেন জলের ব্যবস্থা হবে, স্কুল কলেজ সাধারণত উন্নয়নের আশ্বাসই দিয়ে থাকেন সকলে। তবে রচনা এসবে নেই, ভোটে জিতলে তার সবথেকে বড় কাজ কী হবে, ঘটা করে নিজ মুখেই জানালেন সেকথা।
রবিবার সারাদিন ভোট প্রচারের পর রাতে হুগলির বেগমপুরের হাটতলায় বসন্ত উৎসবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন রচনা। সেখানে মঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিনেত্রী বলেন, “ভোট প্রচারে বেরিয়ে যখন দেখি এত মানুষ আমায় এসে বলে দিদি আপনার পাশে আছি, মনে হয় দশ জন্ম পূণ্য করেছি বলে এটা আমি পেয়েছি।”
এরপর দর্শকাসন থেকে হঠাৎ ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ শো-র প্রসঙ্গ উঠতে খানিক হেসে রচনা বলেন, আমি দিদি নম্বর ওয়ানে (Reality Show Didi Number 1) সবসময় বলি, ‘এবার বল’। সেটাই বলব। এবার আপনারাই বলবেন। এরপরই বিরাট প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেন তৃণমূলের হেভিওয়েট এই প্রার্থী। মঞ্চে দাঁড়িয়েই বলেন, “আরও একটা কথা বলে দিই, আমি যদি বিজয়ী হই, তাহলে সবথেকে বড় কাজ করব… হুগলির দিদি দের সবার আগে দিদি নম্বর ওয়ানে ডাকব। ওদের বলব বলব হুগলি জেলার মানুষ আমাকে জিতিয়েছে ওই জেলার দিদি-দের আগে ডাক।”
রচনার এই বিরাট প্রতিশ্রুতির পরই নানা মহলে শুরু হয়েছে চর্চা। তৃণমূল প্রার্থীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি হুগলির বিদায়ী সাংসদ বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। সোমবার ভদ্রেশ্বরে বসন্ত উত্সবে যোগ দেন লকেট। সেখানে রচনাকে আক্রমণ করে লকেট বলেন, ”মানুষ ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ যেতে চায় না। সাধারণ মানুষ কাজ চায়। সুরক্ষা চায়। মানুষ কৃষি, শিল্প চায়।”
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষকে ‘শূন্য রানে আউট’ করার হুঙ্কার TMC-র কীর্তির! পাল্টা জবাবে বিস্ফোরক BJP নেতা
লকেট আরও বলেন, ”টিভিতে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ করে কী হবে? ওটা অভিনয়ের পার্ট মাত্র। আজকের দিনে মানুষ দুর্নীতি তোলাবাজি, সিন্ডিকেট চায় না।” নেত্রীর সংযোজন, ”আমার লজ্জা লাগে, এখানে কেন এই রকম একটা প্রার্থী দিল, যার কোনও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাই নেই। এখানের অন্য নেতাদের জন্য খারাপ লাগে। হুগলির মানুষ যথেষ্ট শিক্ষিত। তারা জানেন কোনটা রাজনীতি আর কোনটা অভিনয়।”