ছোট ফ্ল্যাটে মানুষ করেছিলেন বাবা মা, ‘এতটা কষ্ট…’, পুরনো কথা মনে করে কেঁদে ভাসালেন রচনা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলায় যতই নতুন নতুন নন ফিকশন শো আসুক না কেন, দিদি নাম্বার ওয়ান এর জনপ্রিয়তাকে টেক্কা দিতে পারবে না কেউই। দীর্ঘ এক দশক ধরে জি বাংলার পর্দায় সম্প্রচারিত হচ্ছে এই শো। প্রতিটি সিজনেই দক্ষতার সঙ্গে সঞ্চালনার দায়িত্ব সামলে এসেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee)। দিদি নাম্বার ওয়ানের অবিচ্ছেদ্য অংশ তিনি। যতই ট্রোল, বিতর্ক হোক না কেন, রচনা (Rachna Banerjee) ছাড়া যে দিদি নাম্বার ওয়ান অসম্পূর্ণ তা সকলেই স্বীকার করবেন।

দিদি নাম্বার ওয়ানে আবেগঘন রচনা (Rachna Banerjee)

পরপর সিজন জুড়ে হইহই করে চলছে দিদি নাম্বার ওয়ান। টিআরপি বরাবর ভালোই থেকেছে এই শোয়ের। দেখতে দেখতে সিজন ৯-এ ১০০০ পর্বে পা রাখতে চলেছে দিদি নাম্বার ওয়ান। আর এবার আরো জমকালো ভাবে হতে চলেছে উদযাপন। চ্যানেলের তরফে শেয়ার করা প্রোমো আগ্রহ বাড়িয়েছে দর্শকদের। তবে এবার প্রকাশ্যে এল আরো একটি নতুন প্রোমো যেখানে অতীত জীবন নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে রচনাকে (Rachna Banerjee)।

বাবা মায়ের কথা রচনার মুখে: অনেকেই জানেন, অভিনয়ে পা রাখার আগে রচনার (Rachna Banerjee) আসল নাম ছিল ঝুমঝুম বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম বদলে রচনা হন তিনি। সেখান থেকে এতদিনের সফর কেমন ছিল? সঙ্গীতশিল্পী জোজোর প্রশ্নে অতীতের স্মৃতিচারণায় ভেসে আবেগঘন হয়ে পড়েন রচনা (Rachna Banerjee)। বাবা মায়ের কথা বলতে গিয়ে কেঁদেই ফেলেন তিনি।

আরো পড়ুন : ভুল পথনির্দেশে সেতু থেকে নীচে পড়েছে গাড়ি! ভয়াবহ দুর্ঘটনার জেরে গুগল ম্যাপের বিরুদ্ধে শুরু তদন্ত

নিজেকে সামলাতে পারেননি সঞ্চালিকা: রচনা বলেন, বাবা মা তাঁকে খুব ছোট্ট একটা ফ্ল্যাটে মানুষ করেছিলেন। ছোট থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল, মা বাবাকে একটা ভালো বাড়ি করে দেবেন। রচনা (Rachna Banerjee) জানান, তিনি যখন ফ্ল্যাট কেনেন, তাঁর বাবা মায়ের মুখে যে হাসি দেখেছিলেন তখন তাঁর মনে হয়েছিল এত কষ্ট করা সার্থক। বলতে বলতেই চোখে জল এসে যায় রচনার। দীর্ঘদিনের বন্ধু জোজো গিয়ে সামলান তাঁকে।

আরো পড়ুন : আচমকাই উল্টো সুর! ভারতের সাথে সম্পর্ক “গভীর” করতে চায় চিন, কি পরিকল্পনা জিনপিংয়ের?

বাবার সঙ্গে যে রচনার সম্পর্ক খুবই গভীর ছিল তার প্রমাণ আগেও মিলেছে। বাবার মৃত্যুর পর সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। রচনার কাছে তাঁর বাবা ছিলেন বন্ধু, দার্শনিক এবং পথপ্রদর্শক। বাবার মৃত্যু শোক সামলে উঠতে অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল তাঁর। নিজের ফ্ল্যাটে মা এবং ছেলে প্রণীলের সঙ্গে থাকেন রচনা।