বাংলা হান্ট ডেস্ক : সিনেমার মতোই বর্ণময় অভিনেত্রী রচনা বন্দোপাধ্যায়ের (Rachna Banerjee) ব্যক্তিগত জীবন। যার পরতে পরতে রয়েছে নতুন চমক। তাই তাঁর মত সেলিব্রেটির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনুরাগীদের কৌতূহল থাকাটাই স্বাভাবিক। রচনার (Rachna Banerjee) জীবনের অজানা কাহিনী জানার জন্য মুখিয়ে থাকেন অনুরাগীরাও। হাসিখুশি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rachna Banerjee) মুখে সারাক্ষণ হাসি লেগেই থাকে।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সিক্রেট ফাঁস করলেন রচনা (Rachna Banerjee)
এই বয়সে এসেও অফুরন্ত প্রাণশক্তিতে ভরপুর তিনি। এখন তাঁকে বড় পর্দায় দেখা যায় না ঠিকই ,তবে একটা সময় বাংলা সিনেমার প্রথম সারির নায়িকা হিসাবে তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছিলেন একের পর এক সুপারহিট বাংলা সিনেমা। রচনার সাথে বরাবরই হিট ছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) জুটি। একসাথে জুটি বেঁধে একাধিক বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেছেন তাঁরা।
এমনিতে টেলিভিশনের পর্দায় জি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান রিয়ালিটিও শোতে তাঁকে রোজ দেখেন দর্শক। তবে একবার এই সঞ্চালিকাই অতিথি হয়ে এসেছিলেন শ্বাশ্বত চট্টোপাধ্যায় সঞ্চালিত জি বাংলার পুরনো টকশো অপুর সংসারে। সেখানে বন্ধুসম প্রসেনজিৎ সম্পর্কে রসিকতা করে একবার রচনা বলেছিলেন ‘কেন যে প্রসেনজিৎ ভাবলেন না রচনার সাথেও প্রেম করা যায়?’
এখানেই শেষ নয় এ দিন সেই খোলামেলা আড্ডাতে বসে রচনা একের পর এক সিক্রেট ফাঁস করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। অভিনেত্রী প্রথমেই জানান প্রসেনজিতের সাথে কনসার্ট থাকলেই তাঁর নাকি খুবই ভয় লাগে। কারণ নায়কের গাড়িতে উঠলে নাকি আর রক্ষা থাকতো না। তখন নাকি অভিনেত্রীকে হাতে অতিরিক্ত অনেকটা সময় নিয়েই বেরোতে হতো।
আরও পড়ুন : দুর্জয় অতীত! ‘তোমাদের রাণী’র পর নতুন সিরিয়ালে অভীকার নায়ক কে জানেন?
কারণ প্রসেনজিৎ নাকি এতটাই আস্তে গাড়ি চালাতেন যে তিন ঘন্টার রাস্তাও পৌঁছাতে তাঁর ৬ ঘণ্টা সময় লেগে যেত। রচনার কথায় গাড়ি প্রসেনজিতের গাড়ির স্পিড নাকি মোটেও ৪০ এর ওপরে ওঠে না। আর বেশি জোরে গাড়ি চলুক তা পছন্দ করেন না প্রসেনজিৎ। শুধু তাই নয় তার মত সুপারস্টারকে দেখার জন্য যখন দর্শকরা ভিড় জমান তখন নাকি তিনি রীতিমতো সেখান থেকে বাঁচার জন্য লুকিয়ে পড়েন।
ব্যক্তিগত জীবনে রচনা দুবার বিয়ে করেছেন। তবে তাঁর বিয়ে দাম্পত্য জীবনে সুখের হয়নি। এই সম্পর্ক প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা যারা এই পেশায় কাজ করি বিশেষ করে মেয়েরা, তাদের এমন কাউকে বিয়ে করা উচিত যারা এই পেশাটাকে বুঝবে। যদি এই পেশার মানুষ হন, তাহলে তো খুবই ভাল। নয়তো, সেই বোধটা থাকা প্রয়োজন। তেমন মানুষের সঙ্গেই সংসারটা করা উচিত। কারণ আমাদের পেশাটা অন্যদের থেকে, এতটাই আলাদা সেটা বোঝা, জানার জন্য, সেই মানুষটাকেও অনেকটা মানিয়ে নিতে হয়। নয়তো সুখী ঘর হওয়া খুব মুশকিল।’