বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতির ময়দানে প্রথম হাতেখড়ি হয়েছিল বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rachna Banerjee)। প্রথমবার রাজনীতিতে নেমেই ছক্কা হাকিয়েছিলেন রচনা। এখন তিনি হুগলির দাপুটে তৃণমূল সাংসদ। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল শিবিরে এখন তুমুল ব্যস্ততা। এরইমধ্যে আজ নিজের লোকসভা কেন্দ্র অর্থ্যাৎ হুগলিতে জেলাশাসকের সঙ্গে একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক বৈঠকে বসেছিলেন রচনা।
রচনাকে (Rachna Banerjee) কীভাবে দিশা দেখছেন অভিষেক?
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল সাংসদ (Rachna Banerjee) বললেন, ‘স্বাস্থ্য আমার প্রাথমিক কাজ। আমার সংসদ এলাকার হাসপাতাল গুলোর পরিকাঠামোর উন্নয়ন করব। তবে চিকিৎসকের অভাব আছে। সেটা কিভাবে দূর করা যায় তা দেখা হচ্ছে’। এর পরেই রচনার মন্তব্যে উঠে এল ‘অভিষেক বন্দনা’। সম্প্রতি ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ‘সেবাশ্রয়’ নামে নতুন স্বাস্থ্য শিবির প্রকল্প।
অভিষেকের দেখানো পথ অনুসরণ করেই কি তবে এই কাজে উদ্যোগী হয়েছেন রচনা (Rachna Banerjee)? এপ্রসঙ্গে রচনার স্পষ্ট জবাব, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের আইকন। ও আমাদের পথ দেখাচ্ছে, দিশা দেখাচ্ছে। আমরা হয়তো সেই পথ অতিক্রম করতে পারব না। কিন্তু তার সিকি ভাগও যদি করতে পারি সেটাও অনেক। নিশ্চিত ভাবে তিনি একজন গাইড’।
জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় চিকিৎসকের অভাবের কথা জানিয়ে রচনা এদিন বললেন, হাসপাতালের পাশপাশি বেড বাড়ানো হবে। একইসাথে তাঁর সংযোজন, ‘হাসপাতালে যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে, পরিকাঠামো উন্নয়ন হবে। কিন্তু ডাক্তার না থাকলে সবটাই ফিকে পড়ে যাবে। ডাক্তারই আসল সেই মানুষদেরই দরকার’।
প্রসঙ্গত বিনোদন জগতে অত্যন্ত সফল একজন অভিনেত্রী হওয়ার পর সঞ্চালিকা হিসাবেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন রচনা। আর এখন রাজনীতির ময়দানেও অত্যন্ত পরিচিত মুখ তিনি। এসবের পাশাপাশি বরাবরই দারুন স্বাস্থ্য সচেতন রচনা। তাই গরমকাল আসার আগে এবার নিজের লোকসভা কেন্দ্র থেকে রচনা জানালেন রোগা হওয়ার সহজ উপায়।
আরও পড়ুন: ‘আমি নই, পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মানুষ..,’ দিলীপ ঘোষকে নিয়ে এবার যা বললেন শুভেন্দু! শোরগোল শুরু
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে প্রচন্ড গরমের মধ্যেই দলের হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন রচনা। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেই তিনি বললেন, ‘গতবার যখন প্রচার করেছি তখন খুব গরম ছিল। এখনও সেই গরম পড়েনি। তবে ছাব্বিশের নির্বাচনের সময় গরম বাড়বে। তখন অবশ্য লরি করে জিপে করে ঘুরতে হবে না। মানুষের কাছে কাছে যাওয়া সেটা পরের বছর হতে চলেছে। আবার বিধানসভা ভোট আসছে দেখবেন পরের বছর কি গরমটা পড়ে।’
তারপরেই রোগা হওয়ার সহজ টিপস দিয়ে রচনা বললেন ‘গরমকাল হল সবচেয়ে ভালো সময় রোগা হওয়ার জন্য। ডায়েট করার জন্য এবং রোগা হওয়ার জন্য শরবত ফল দই খান। মনে আনন্দ রাখুন শরীর মন সব ঠিক থাকবে’।