বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাধিকা আপ্টে (radhika apte), বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় ও প্রতিভাবান অভিনেত্রী। বড়পর্দা থেকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সবেতেই অবাধ বিচরণ তাঁর। সৌন্দর্য, বুদ্ধিমত্তা ও অনবদ্য অভিনয় প্রতিভার এক অসাধারন মিশেল তিনি। কিন্তু রাধিকার জীবনেও এমন এক সময় এসেছিল যখন বাইরের জগৎ থেকে নিজেকে লুকিয়ে, লোকচক্ষুর একরকম আড়ালে চলে যেতে হয়েছিল তাঁকে।
ঘটনাটা চার পাঁচ বছর আগে। হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হয়েছিল একটি ভিডিও ক্লিপ নিয়ে। এক তরুণীর নগ্ন ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়, কারণ তরুণীকে হুবহু রাধিকা আপ্টের মতোই দেখতে। সংবাদ মাধ্যমেও দিনের পর দিন খবরের শিরোনামে ছিলেন অভিনেত্রী এই ভিডিওর জন্য। সবার বদ্ধমূল ধারনা হয়েছিল ভিডিওর তরুণী রাধিকাই।
উপরন্তু সেই সময় ক্লিন শেভন নামে একটি ছবিতে অভিনয় করছিলেন তিনি। তখনি ভাইরাল হয় ভিডিওটি। ভিডিওতে ওই ছবিরও কিছু অংশ ছিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে মুখ খোলেন রাধিকা। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত ট্রোল থেকে শুরু করে সংবাদ মাধ্যমেও আলোচনা শুরু হয়েছিল এই ভিডিও নিয়ে।
বাড়ি থেকে বেরোনো পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিলেন রাধিকা। ভিডিও দেখে তাঁর বাড়ির দারোয়ান ও নিরাপত্তারক্ষীরাও তাঁর দিকে অদ্ভূত দৃষ্টিতে তাকাতেন। নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী। অথচ তিনি বারংবার জোর গলায় বলেছেন ওই ভিডিওর মেয়েটি তিনি নন। ভিডিওটি একটু ভাল ভাবে দেখলেই সেটা বোঝা যাবে বলে মন্তব্য করেন রাধিকা।
২০১৬ তে পার্চড ছবিতে অভিনয় করেন রাধিকা। ছবিতে তাঁর চরিত্রটি ছিল এক যৌনকর্মীর। ছবির স্বার্থে ক্যামেরার সামনেই নগ্ন হতে হয়েছিল রাধিকাকে। এই ছবির প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, “ক্যামেরার সামনে নগ্ন হওয়ার পর বুঝলাম আমার আর কিছুই লুকানোর নেই।” পার্চড ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রভূত প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন রাধিকা আপ্টে।