বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) মেয়ে তিনি। সে দেশেরই অভিনয় ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কিন্তু এপার বাংলার পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ের পরেই কলকাতার বউমা হয়ে উঠেছেন রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা (Rafiath Rashid Mithila)। কলকাতাতেই পাকাপাকি ভাবে সংসার পেতেছেন তিনি। কিছু ওয়েব সিরিজে কাজও করেছেন। তবুও নিজের জন্মস্থানকে তো আর অত সহজে ভোলা যায় না।
এ বার দূর্গাপুজোটা তাই বাংলাদেশেই কাটাবেন বলে ঠিক করেছেন মিথিলা। ২০২০ সালে বিয়ের পর গত বছর প্রথম কলকাতার পুজো দেখেন তিনি। মুগ্ধ হয়েছিলেন খাস কলকাতার দূর্গোৎসব দেখে। তবে জাঁকজমকটা নতুন হলেও দূর্গাপুজো কিন্তু মিথিলার কাছে নতুন নয়। ছোট থেকে পুজোর আনন্দ উপভোগ করেই বড় হয়ে উঠেছেন তিনি। বাংলাদেশে কেমন ভাবে হয় দূর্গাপুজো? নিজের ছোটবেলার স্মৃতি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মিথিলা জানান, মেয়ে আইরার স্কুল ছুটি থাকলে তিনি ঢাকায় নিজের বাড়িতেই যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ বছর ষষ্ঠীটা কলকাতায় কাটিয়ে সপ্তমীতেই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে যাবেন তিনি। এ বছর সৃজিতও পুজোতে কলকাতায় থাকতে পারবেন না। শিলং থেকে ফিরে আবার তাঁকে মুম্বই ছুটতে হবে। তাই বাবা, মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে পুজো কাটাবেন মিথিলা।
পুজো উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ ঢাকাই জামদানিও অর্ডার করে রেখেছেন অভিনেত্রী। বাংলাদেশে গিয়েই স্বামী, শাশুড়ি, ননদ সহ পরিবারের সবার জন্যই কেনাকাটা করবেন বলে জানান তিনি। বাংলাদেশের দূর্গাপুজো নিয়ে কলকাতার মানুষের কৌতূহল থাকা স্বাভাবিক। কেমন হয় সেখানকার পুজো?
মিথিলা জানান, কলকাতার মতো না হলেও বাংলাদেশে বেশ বড় করেই দূর্গাপুজো হয়। তিনি যে পাড়ায় থাকেন সেই এলাকার নাম সিদ্ধেশ্বরী। কারণ সেখানে সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির আছে। পাড়াতেই পুজো হওয়ার দরুন ছোটবেলাটা দারুন আনন্দ করেই কেটেছে মিথিলার।
পুজোর সময়ে মেলায় গিয়ে চুড়ি, টিপ কেনা থেকে শুরু করে ঠাকুর দেখা, খাওয়া দাওয়া হত সব কিছুই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকের আওয়াজে গমগম করত গোটা পাড়া। এখনো প্যান্ডেলে গিয়ে ঠাকুর দেখেন তিনি। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা, খাওয়া দাওয়াও হয়। তাই এবারের পুজোটা যে মিথিলার জমজমাট ভাবে কাটতে চলেছে তাতে সন্দেহ নেই।