বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি চিন্তা ধরাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আরো অশান্ত হয়ে উঠেছে প্রতিবেশী দেশ। সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার বেড়ে চলেছে পাল্লা দিয়ে। এই অশান্ত বাংলাদেশেই পারফর্ম করতে আসছেন সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলি খান (Rahat Fateh Ali Khan)। এর আগে পাক শিল্পী আতিফ আসলাম এসেছিলেন বাংলাদেশে গান গাইতে। এবার প্রতিবেশী দেশে আসছেন রাহাত (Rahat Fateh Ali Khan)। তাও আবার গান গাইবেন বিনামূল্যে।
বাংলাদেশে রাহাত ফতেহ আলি খানের (Rahat Fateh Ali Khan) শো
নতুন বাংলাদেশ গড়তে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের সময় শহিদ হওয়া হাজার হাজার মানুষ এবং আহতদের চিকিৎসা, পরিবারের সহযোগিতার জন্য একটি চ্যারিটি কনসার্টের আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘স্পিরিটস অফ জুলাই’। আন্দোলনে শহিদ এবং আহতদের পরিবারদের কল্যাণের উদ্দেশ্যে কাজ করছে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ সংগঠন। চ্যারিটি কনসার্ট থেকে যে পরিমাণ টাকা আয় হবে তার সম্পূর্ণটাই দান করে দেওয়া হবে এই সংগঠনে।
কবে কোথায় হচ্ছে অনুষ্ঠান: ২১ শে ডিসেম্বর ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে হতে চলেছে রাহাত ফতেহ আলি খানের (Rahat Fateh Ali Khan) কনসার্ট। যেহেতু এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য শহিদ এবং আহতদের জন্য হিতকর, তাই আর্মি স্টেডিয়ামের সম্পূর্ণ ভাড়াও মকুব করা হয়েছে। এমনটাই জানানো হয়েছে সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তরফে। এর ফলে আরো বেশি পরিমাণ অর্থ সংগঠনের হাতে তুলে দেওয়া যাবে বলে আশা করছে আয়োজকরা। পাশাপাশি এই উদ্যোগে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর যোগদানকেও সাধুবাদ দিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : বড়দিনের আগেই মল্লিক বাড়িতে উদযাপন শুরু, দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিলেন কোয়েল, পূর্ণ হল পরিবার
আর কী কী থাকছে কনসার্টে: যেমনটা জানা যাচ্ছে, এদিনের কনসার্টে রাফাত ফতেহ আলি খান (Rahat Fateh Ali Khan) প্রধান আকর্ষণ হলেও পারফরম্যান্স থাকছে বাংলাদেশি ব্যান্ড আর্টসেল, চিরকুট, অ্যাশেজ, আফটারম্যাথ এবং সেজান, হান্নানদের মতো শিল্পীদের। পাশাপাশি থাকছে জুলাই এর আন্দোলনের গ্রাফিতি প্রদর্শনী এবং মঞ্চ নাটক। এই শোয়ের টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছে ৪-৫ হাজার টাকা। আর ভিআইপি টিকিটের মূল্য থাকছে ১০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন : বলিউড করেনি কদর, ঢালিউডের সুপারস্টার, ‘বাংলাদেশের শাহরুখ খান’ এর তকমা পান এই অভিনেতা!
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ক্ষমতা বদলের পরেই পাকিস্তানের সঙ্গে রমরমা বেড়েছে নতুন সরকারের। পাকিস্তানের শিল্পীদের অনুষ্ঠান করতে দেখা যাচ্ছে ওপার বাংলায়। প্রকাশ্যে ভারত বিরোধিতা, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার কথাও শোনা গিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় নেতার মুখে। এই পরিস্থিতিতেই পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমশ সম্পর্ক আরো গাঢ় হচ্ছে বাংলাদেশের।