বাংলা হান্ট ডেস্ক: সেমিফাইনালে হারের পর ভারতীয় দলে দেখা দিচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবং এই দুই গোষ্ঠীর একটা গোষ্ঠী শাসক শিবির অর্থাত্ বিরাটের, আর একটি বিরোধী শিবির রোহিতের।তথ্য অনুযায়ী আবারও ভারতীয় দলে রাজনীতি শুরু হয়েছে
বিশ্বকাপের দল নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠছে। ইংল্যান্ডে থাকা সত্ত্বেও শিখর ধাওয়ান পরিবর্তে কেন অজিঙ্ক রাহানেকে চাওয়া হল না? বা চার নম্বরে কোন যুক্তিতে অম্বাতি রায়াডুর জায়গায় সুযোগ পান বিজয় শঙ্কর বা ঋষভ পন্থ?এসব প্রশের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ভারতীয় দলকে। সেমিফাইনালে ১৮ রানে ভারতের হারের পর দলের অন্দর থেকে কিছু খবর সামনে এসেছে।ভারতীয় দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের মধ্যে নাকি বনিবনা নেই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আবারও দ্বিধা বিভক্ত টিম ইন্ডিয়া। রোহিতের গোষ্ঠীর মত, কোচ ও অধিনায়ক মর্জিমতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। অম্বাতি রায়াডুর জায়গায় বিজয় শঙ্করকে বাছার সিদ্ধান্ত তার ই ইঙ্গিত দিচ্ছে।অন্যদিকে নাকি অধিনায়ক কোহলির কাছের লোকেদেরা বেশি সুযোগ ভোগ করে। ব্যর্থ হলেও তাঁরা বাদ পড়ছেন না দল থেকে। দলের কথা হচ্ছে, তাহলে কী অধিনায়ককে তেল দিয়ে চলতে হবে? রোহিত শর্মা ও জসপ্রীত বুমরার পারফরম্যান্স ভালো থাকায় বিরোধী হয়েও টিমে থাকতে পেরেছেন তাঁরা। অধিনায়ক ও কোচের ওপর যারা অসন্তুষ্ট, তারা চলে যাচ্ছেন রোহিতের শিবিরে।
কোচ রবি শাস্ত্রী ও বোলিং কোচ ভরত অরুণকে নিয়ে খুশি নন ভারতীয় দলের অধিকাংশ ক্রিকেটার। দলে র পরিস্থিতি এমনই যে কোচ ও অধিনায়ক এর বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা তুলতে পারছেন না। তাদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেই স্থান হারাবার ভয় পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসক কমিটির প্রধান বিনোদ রাইয়ের সমর্থনও আছে বিরাট কোহলির সাথে। ফলে তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত দলে।
ক্রিকেটারদের একাংশ মনে করছে, কোচ ও অধিনায়কের প্রিয়পাত্র হলেই ঠাঁই মিলবে। সেটার ই বিরুদ্ধে সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মা।