বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘বাতাসে গুনগুন এসেছে ফাগুন…’ ফাগুন আসতে অনেক দেরি থাকলেও এই গানটা শুনলেই মানসপটে ভেসে ওঠে হাজারো স্মৃতি। দুই নবাগত নায়ক নায়িকা যাঁরা এক ছবিতে তারকা বনে গিয়েছিলেন, আর পরবর্তীকালে হয়ে ওঠেন জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রী। রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Rahul Arunoday Banerjee) এবং প্রিয়াঙ্কা সরকার (Priyanka Sarkar)। ছবির নাম ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’।
অনেক ছবি আসবে আর যাবে, কিন্তু সিনেপ্রেমীদের মনে আলাদা জায়গা রয়েছে এই ছবিটির জন্য। ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটির প্রতিটি গানই প্রেমে পড়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। এই ১৪ বছর পরেও একই রকম জনপ্রিয় প্রতিটি গান। সেই ছবির সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের জীবনেই এই ১৪ বছরে অনেক কিছু ঘটে গিয়েছে।
পর্দার নায়ক নায়িকা রাহুল প্রিয়াঙ্কা বাস্তবে বিয়ে করে এখন আলাদা হয়ে গিয়েছেন। দুজনেই ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় নাম এখন। এই ছবির সঙ্গেই পরিচালক হিসাবে ডেবিউ করেছিলেন রাজ চক্রবর্তী। তিনি আজ টলিউডের প্রথম সারির পরিচালক এবং রাজ্যের শাসক দলের বিধায়ক।
নায়ক হিসাবে প্রথম ছবির ১৪ বছর পূর্তিতে আবেগঘন রাহুল। স্মৃতিচারণা করে সংবাদ মাধ্যমকে বললেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ২৪ বছর। এখন ভাবনাচিন্তাই বদলে গিয়েছে। কিন্তু চিরদিনই তুমি যে আমার তাঁর কাছে চিরদিনই স্পেশ্যাল হয়ে থাকবে। কারণ ওই ছবির সময়েই প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা পূর্ণতা পেয়েছিল। সেই সময়েই অনেকেই ছবিটি দেখে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন বলে জানান রাহুল।
ছবির সঙ্গে জড়িয়ে অনেক সুন্দর স্মৃতি। আবার কিছু কিছু খারাপ স্মৃতিও রয়ে গিয়েছে চিরদিনই কে ঘিরে। সেসব আর ভেঙে বলতে না চাইলেও রাহুল স্পষ্ট বলেন, পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর আর কোনো ছবিতে কাজ করতে চান না তিনি। নবাগত হিসাবে তাঁর অত্যন্ত খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল বলে জানান রাহুল।
ছবিটি মুক্তির এক মাসের মধ্যেই নাকি তাঁকে ও প্রিয়াঙ্কাকে নাকি অনেক খারাপ কথা বলেছিলেন রাজ। শুধু তাই নয়, ‘প্রেম আমার’ রাহুলের জন্য লেখা হলেও শেষমেষ তাঁকে সরিয়ে সোহমকে নেন রাজ। তাতে অবশ্য কোনো আক্ষেপ নেই রাহুলের। তাঁর চাঁচাছোলা মন্তব্য, প্রেম আমার করলে হয়তো তৃণমূল বিধায়ক হতেন, যা তিনি কোনোদিনই চাননি।