বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আজকের এই প্রতিবেদন যে তিনজনকে নিয়ে তাদের মধ্যে একজন সদ্য বিতাড়িত হয়েছেন বিসিসিআইয়ের প্রধানের পথ থেকে। খুব স্পষ্ট করে কিছু বলা না হলে মূলত তার সময়ে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সের অবনতির অজুহাত দেখিয়েই তাকে নিজের এই প্রশাসনিক পদটি থেকে সরানো হয়েছিল। অথচ তার সমসাময়িক বিশেষি এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ হওয়া কিছু ব্যক্তি এখনো বহাল তবিয়তে রয়ে গিয়েছেন নিজেদের দায়িত্বে। নিজের খেলোয়ার জীবনে তিনি একজন ওডিআই ক্রিকেটার এবং ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছিলেন।
অপরজন সর্বকালের অন্যতম সেরা ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন এবং ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে কিছু বছর আগে সর্বোচ্চ সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। তার সেই রেকর্ডের কথা মাথায় রেখেই বিসিসিআই তাকে গত বছর ভারতীয় কোচের পদে এনেছিল। কিন্তু চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ভারতীয় দল বিদায় নিতেই কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সমালোচনা করা শুরু করে দিয়েছেন সমালোচকরা। তাকে ছেঁটে ফেলার দাবিও তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই।
তৃতীয় জন সদ্য অধিনায়ক হয়েছেন এবং অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই দলকে ট্রফি জিতিয়ে দিয়েছেন। এখন সৌরভ গাঙ্গুলী এবং রাহুল দ্রাবিড়কে নিজের অনুপ্রেরণা মানার গল্প প্রকাশ্যে আনলেন বাটলার। ছোটবেলায় দুজন ভারতীয় কিংবদন্তির একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ তাকে একজন ক্রিকেটার হওয়ার পথে অনুপ্রাণিত করেছিল।
১৯৯৯ বিশ্বকাপ চলাকালীন সুপার সিক্সের ম্যাচে ভারত ও শ্রীলঙ্কা একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর সৌরভ ও দ্রাবিড় নিজেদের মধ্যে ৩১৮ রানের একটি বড় পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিল। সৌরভ করেছিলেন ১৫৩ বলে ১৮৩ রান, যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোনও ভারতীয় ক্রিকেটারের করা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। রাহুল দ্রাবিড় করেছিলেন ১২৯ বলে ১৪৫ রান।
ওই ম্যাচের দিন বাউন্ডারি লাইনের ধারে উপস্থিত ছিলেন ছোট্ট বাটলার। ইনিংসের শেষ দিকে সৌরভ এবং দ্রাবিড়ের আগ্রাসী ব্যাটিং তাকে মুগ্ধ মুক্ত করেছিল এবং ভবিষ্যতের জন্য তাকে এমনই এক ক্রিকেটার হয়ে ওঠার প্রেরণা জুগিয়েছিল। কাল এই তরুণ ক্রিকেটারই টুর্নামেন্টের চতুর্থ সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক (২২৫) হয়ে দেশকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতালেন। তারপর সৌরভ ও দ্রাবিড়ের প্রতি তার প্রগাঢ় শ্রদ্ধার কথা সকলের সামনে এনেছেন ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের অধিনায়ক।