বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ৩৭০ ধারা অপসারণের পরে, জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) কয়েক মাস ধরে কার্ফু এবং লকডাউন চলছিল। এমন পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের তিন ফটোগ্রাফার রাজ্যের পরিবেশ তাদের ক্যামেরায় বন্দি করে রাজ্যবাসীকে দেখিয়েছিলেন। ভারত বিরোধী ছবি তোলার জন্য পুরস্কিত হওয়া ব্যক্তিদের অভিনন্দন জানালেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তিনজন হলেন ইয়াসিন দার (Yasin Dar) , মুখতার খান (Mukhtar Khan) এবং চান্নি আনন্দ (Channi Anand)। এনারা সংবাদ সংস্থা এপি-তে কাজ করেন। এখন তিনি কাশ্মীরের প্রচারের জন্য মর্যাদাপূর্ণ পুলিৎজার ফিচার ফটোগ্রাফি বিভাগের সাংবাদিকতার ভূষিত হয়েছেন। অনুচ্ছেদ ৩৭০ অপসারণের পর কভারেজের জন্য তিন ফটোগ্রাফার পেলেন ফিচার ফটোগ্রাফি এওয়ার্ড।
উপত্যকার প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও তিনি তার দায়িত্বগুলি ভালভাবে পালন করেছিলেন। প্রতিবাদকারীদের এড়াতে অনেক সময় সবজির ঝুড়িতে ক্যামেরা লুকানো ছিল। এই তিনজন ফটোগ্রাফার বিক্ষোভ, পুলিশ-আধাসামরিক বাহিনী এবং জনগণের জীবনের সংস্থার দিল্লি অফিসেও ছবি তোলেন।
শ্রীনগরের বাসিন্দা ইয়াসিন দার ইমেলের মাধ্যমে জানান, কাজটি হ’ল ইঁদুর এবং বিড়াল সন্ধানের মতো। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ছবিটি দিল্লিতে পাওয়া মুশকিল। আমরা দিল্লীর অফিসে যেতাম এবং সেখান থেকে ফোটো ইন্টারনেটের মাধ্যমে রাজ্যবাসীর কাছে পৌঁছে দিতাম।
একই সাথে জম্মুতে বসবাসকারী চন্নী আনন্দ বলছেন যে, ‘দীর্ঘ ২০ বছর এপির সঙ্গে কাজ করছি। আর আজ এত বছর পর এই পুরস্কারে আমি সম্মানিত। আমি খুব খুশী। কিন্তু সুখ প্রকাশ করার মত আমার কাছে কোনও ভাষা নেই।’
এনারা ৩৭০ ধারা নিয়ে ভারতের বিরোধিতা করে বলে অভিযোগ করেছিল। সেইজন্য বিদেশ থেকে ওনারা ফটোগ্রাফার এওয়ার্ড পেয়েছে। এই তিন ফটো জার্নালিস্টকে অনেক শুভেচ্ছা জানায় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। অনেক সুনামও করেন রাহুল গান্ধী তার টুইটের মাধ্যমে।
Congratulations to Indian photojournalists Dar Yasin, Mukhtar Khan and Channi Anand for winning a Pulitzer Prize for their powerful images of life in Jammu & Kashmir. You make us all proud. #Pulitzer https://t.co/A6Z4sOSyN4
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) May 5, 2020
নিউজ এজেন্সির সিইও গেরি প্রায়ুত বলেছেন যে, এই সম্মান শুধু আমাদের জন্য নয়। ইনস্টিটিউটের দুর্দান্ত কাজের জন্য। এ প্রাপ্য সবার। কাশ্মীরে কর্মরত আমাদের পুরো দল এ জন্য অভিনন্দনের দাবিদার। সংবাদ সংস্থার ফটোগ্রাফার দিউ নুলিও চেরি এবং রেবেকা ব্ল্যাকওয়েলও এই পুরস্কারের জন্য চূড়ান্ত প্রতিযোগী ছিলেন। হাইতির সহিংসতার সময় তাঁর কভারেজ ছিল। চেরিকেও গুলিবিদ্ধ করা হয়েছিল, তবে সে তার কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। পাঁচটি ফটোগ্রাফারই ইনস্টিটিউটের পক্ষে ভাল কাজ করেছেন।
৫ আগস্টের পরে, কাশ্মীরে কয়েক মাস ধরে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। এর পরে সরকার রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে ভাগ করে দেয়। এর আগেও কাশ্মীরের বিশিষ্ট নেতাদের গৃহবন্দী করা হয়েছিল। কার্ফু কয়েক মাস ধরে চলছিল এবং সেখানে টেলিফোনের পাশাপাশি ইন্টারনেট পরিষেবা নিষিদ্ধ ছিল। এমন পরিস্থিতিতে কাশ্মিরের সাংবাদিকরা সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন যে ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার কারণে তাদের কাজ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।