বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার সকাল হতেই রাহুল গান্ধীর একটি ভিডিও ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে দেশের রাজনীতি। সম্প্রতি, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী নেপাল সফরে গিয়েছেন বলে জানা যায়। তবে গতকাল একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে ওঠে যেখানে এক নাইট ক্লাবের মধ্যে কংগ্রেস নেতার দেখা মেলে আর সে নিয়েই মুহূর্তের মধ্যে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা।
বিজেপি আইটি সেল দ্বারা রাহুল গান্ধীর এই কাণ্ডকে ‘নাইট ক্লাবে ফূর্তি’ বলে সম্বোধন করা হয় এবং একের পর এক আক্রমণের তীরে বিদ্ধ করা হতে থাকে তাঁকে। বেলা গড়াতেই আবার সামনে আসে এক অন্য খবর! জানা যায়, কাঠমান্ডুতে বান্ধবী সুমনিমা উদাসের বিয়ের পার্টিতে যোগদান করার উদ্দেশ্যেই গিয়েছিলেন রাহুল। সূত্রের খবর, সেই বিয়ের পার্টিটি ম্যারিয়ট হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই অনুষ্ঠান চলাকালীনই রাহুল গান্ধীর উক্ত ভিডিও ভাইরাল হয়ে ওঠে। তবে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কে এই মহিলা কিংবা সুদূর নেপালের মহিলার সাথে কংগ্রেস সাংসদের পরিচয় হলো কিভাবে?
জানা গিয়েছে, সুমনিমা অতীতে সাংবাদিকতার ফিল্ডে কর্মরত ছিলেন। কর্মসূত্রে, সিএনএন-এর সাংবাদিক সুমনিমা দিল্লি করেসপন্ডেট হিসেবে প্রায় 15 বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেন। তৎকালীন সময়ে দিল্লি গণধর্ষণ থেকে শুরু করে 2014 সালের লোকসভা ভোট কভার করেন আর সেই সময়েই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। পরবর্তীতে, সেই পরিচয় ধীরে ধীরে বন্ধুত্বের দিকে অগ্রসর হয়।
সূত্রের খবর, সাংবাদিকতা ফিল্ডে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করেন সুমনিমা। অসামান্য প্রতিভা সম্পন্ন এই সাংবাদিক তাঁর কাজের জন্য পেয়েছেন একাধিক পুরস্কারও। 2014 সালে সিএনএন-এর মহিলা এম্পাওয়ার্মেন্ট বিভাগে তিনি ‘বেস্ট জার্নালিস্ট অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হন। শুধু তাই নয়, 2012 সালে ‘সিনে গোল্ডেন ঈগল’ সম্মানও যুক্ত হয় তাঁর নামের পাশে।
তবে পেশাগত দিক থেকে সুমনিমার বাবা ভীম উদাস ছিলেন পুরোপুরি আলাদা! নেপালের অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক এই ব্যক্তি ছোটবেলা প্রায় দশটি দেশ ভ্রমণের সাক্ষী থেকেছিলেন। দেশ-বিদেশে এই ভ্রমণের দরুন আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং পরবর্তীকালে তিনি কর্মসূত্রে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান।
বর্তমানে রাহুল গান্ধীর এই বান্ধবী করছেন কি? সূত্রের খবর, বর্তমান সময়ে সাংবাদিকতা থেকে দূরে সরে নিজের জীবন অতিবাহিত করছেন সুমনিমা। লুম্বিনি মিউজিয়ামের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পদ সামলাচ্ছেন বর্তমানে। তবে দিল্লিতে সাংবাদিকতার কাজ ছেড়ে দিলেও কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব রয়ে গিয়েছে মজবুত আর সেই কারণেই বান্ধবীর এক ডাকেই তাঁর বিয়ের পার্টির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কাঠমান্ডুতে পাড়ি দেন রাহুল।