শুক্রবার ঐতিহাসিক ‘ডান্ডি মার্চ’-র বার্ষিকীতে কেন্দ্র সরকারকে বিঁধলেন জাতীয় কংগ্রেসের প্রাক্তণ সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ভারত ক্রমশ আরএসএস এর নেতৃত্বে সর্বগ্রাসী শক্তিতে পরিণত হচ্ছে’।
এদিন তিনি দেশকে ব্রিটিশ জামানার মত পুনরায় ‘সর্বগ্রাসী শক্তি’র হাত থেকে মুক্ত করার ডাক দেন। তার জন্য গান্ধীজির পথ অনুসরণ করার আহবান করেন। একইদিনে দেশের বেকারত্ব ইস্যুতেও কেন্দ্র সরকারকে বিঁধলেন তিনি। একটি টুইট বার্তায় তিনি কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ সানিয়া বলেন, ‘দেশজুড়ে যে শিক্ষার্থীরা চাকরি চায়, তাদের উপর সরকারের পুলিশ লাঠি চালাচ্ছে, জলকামান স্প্রে করছে, এমনকি দেশবিরোধী তকমাও দিয়ে দিচ্ছে’। এই সুরেই এদিন কেন্দ্র সরকারকে একের পর আক্রমন সানিয়া গেলেন তিনি। আর সরকারের এমন সর্বগ্রাসী মনোভাব থেকে নিজেদের রক্ষা করতে গান্ধীজিরই পথ অবলম্বন করার কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ সরকার বিরোধী কোন পদক্ষেপ নিলেই, তা দেশদ্রোহের তকমা পেত। সেই সময় গান্ধীজি ইংরেজদের লবন কর আইন লঙ্ঘন করতে ১৯৩০ সালের ১২ মার্চে গুজরাটের সবরমোতি আশ্রম থেকে ডান্ডি পর্যন্ত একটি পদযাত্রা করেছিলেন। এবার তারই দৃষ্টান্ত তুলে ধরে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আজ ভারত যখন আরএসএস নেতৃত্বাধীন সর্বগ্রাসী শক্তির দ্বারা ক্রমশ শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে উঠছে, তখন আমাদের অবশ্যই উচিত যৌথ স্বাধীনতার জন্য আমাদের ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতি নবায়ন করতে হবে’।
অন্যদিকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভধরা বেকারত্ব নিয়ে যোগী সরকারকে একহাত নেন। তিনি বলেন, যোগী সরকারের ৭০ লক্ষ কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে লক্ষ লক্ষ পদ এখন শূন্য পড়ে আছে।