বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের চরম কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)। গোটা রাজ্যে অশান্তির আবহাওয়া বইছে, আর এর মধ্যে মমতা ব্যানার্জীর (mamata banerjee) অবদান এবং ওনার নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। আরেকদিকে রাজ্যের বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার আর শুভাপ্রসন্নরা রাজ্যের অশান্তি নিয়ে মুখ খুলে বলেছেন। অশান্তি ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আন্দোলনে ভরসা রাখুন। বুদ্ধিজীবীদের এই মন্তবের পর বলেন, ওরা বুদ্ধিজীবী না! ওরা আল্লহজীবী। শুধু তাই নয় বুদ্ধিজীবীদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে রাহুল সিনহা।
নাগরিকতা আইনের প্রতিবাদে গোটা রাজ্যে আগুন জ্বলছে। কোথাও রাস্তা অবরোধ করে বাস, লরিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার কোথাও স্টেশনে ঢুকে টিকিট কাউন্টার থেকে টাকা লুঠ করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা সামনে আসছে। এমনকি চলন্ত ট্রেনে অজস্র মানুষ মিলে একসাথে পাথর ছোঁড়ার ভিডিও দেখা গেছে। এছাড়াও ট্রেন লাইন উপরে ফেলা ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় গোটা রাজ্যের মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।
নানান রুটে প্রচুর ট্রেন বাতিল করা হয়েছে এই অশান্তির জেরে। আর মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণপুরে পরপর পাঁচটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। নাগরিকতা সংশোধন আইনের প্রতিবাদে বাংলায় যেভাবে অশান্তি ছড়িয়েছে তাতে উদ্বিগ্ন বাঙালিরা। অনুমান মতো, কয়েকশ কোটি টাকার সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেছে এই অশান্তির আগুনে। আরেকদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সবাইকে সংযত হয়ে থাকার আবেদন করেছেন। যদিও উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে কতটা কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফ থেকে, আর কতজন উগ্রবাদীকে আটক করা হয়েছে সেটা এখনো জানা যায়নি।
আরেকদিকে অসম থেকে প্রথমে নাগরিকতা বিল নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হলেও, দুদিন পর প্রায় শান্তর মুখে অসম। রাজ্যের সরকার অশান্তি দমন করতে উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কারফিউ লাগানো হয়েছিল। এমনকি রাজ্যে প্রচুর সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। আধিকারিক মতে অসমে প্রায় ১৫০০ উপদ্রবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দোকান পাথ ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়া বেশ খুশি অসমের বাসিন্দারা।