বাংলা হান্ট ডেস্ক : অসমের নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর তার আঁচ পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও৷ ইতিমধ্যেই এনআরসি নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আর তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে৷ এই এনআরসি আতঙ্কে ইতিমধ্যেই রাজ্যে আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে৷ তবে এই মৃত্যুর ঘটনা এনআরসির গুজবের জেরে তা বলতে নারাজ বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা৷ এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে রাহুল সিন্হা অসুস্থতার মৃত্যুকে এনআরসির মৃত্যু বলে চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন৷
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এআরসি আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য দায়ী করেন৷ এবং পারিবারিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হলে তা কখনই এনআরসি বলে চালানোর ভিত্তি নেই এমনটাও বলেন রাহুল৷ অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এনআরসি আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করেছিলেন এবং কেউ মারা গেলে তার দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করার দাবি তুলেছিলেন তিনি৷
আসলে রাজ্যে যেভাবে এনআরসি নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে তাতে একের পর এক মৃত্যু ও আত্মহত্যার ঘটনা করছে যার জন্য এ আরশিকে দায়ী করছে সিপিএম কংগ্রেস এবং তৃণমূল৷ কিন্তু এই মৃত্যুর ঘটনাকে কখনই এনআরসি আতঙ্কে মৃত্যু বলে মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্বরা৷ অন্য দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র কয়েক দিন আগেই এনআরসির প্রতিবাদে রাজপথে হেঁটেছিলেন৷
এমনকি সিঁথির মোড় থেকে শ্যামবাজার অবধি মিছিলের পর শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে একটি সভা করেছিলেন সেখান থেকে রাজ্যে এনআরসি চালু করার বিষয়ে বিজেপিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ অন্য দিকে মুখ্যমন্ত্রীর এনআরসির বিরোধিতা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের রণনীতি সাজানোর এক কৌশল বলেই মনে করছেন বিরোধীরা৷