বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে করোনা (COVID-19) পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ভারতে (India) লকডাউন অবস্থা চলছে। আগামী ১৪ ই এপ্রিল অবধি চলবে এই লকডাউন। কিন্তু এই লকডাউন পরিষেবা শেষ হওয়ার পর কিভাবে রেল (Rail) পরিষেবা চলাচল করবে সেই নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ এক নির্দেশিকা জারি করেছে। আগামী ১৫ ই এপ্রিল থেকে পুনরায় ভারতীয় রেল পরিষেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বেশ কিছু নিয়ম রীতি রয়েছে এই নতুন পরিষেবায়।
নতুন প্রোটোকল অনুযায়ী যেসকল যাত্রী রেল পরিষেবা নিতে চাইবেন অর্থাৎ যারা ট্রেনে উঠবেন, তাঁদের ট্রেনের নির্ধারিত সময়ের চার ঘন্টা আগে রেলস্টেশন পৌঁছাতে হবে। কারণ, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রেলস্টেশনে প্রবেশের আগে সমস্ত যাত্রীর তাপীয় স্ক্রিনিং করা হবে। এর মধ্যে যেসকল ব্যক্তি শুধুমাত্র থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে উত্তীর্ণ হবেন,তাঁদেরকেই শুধুমাত্র রেলস্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়া যদি কোন ব্যক্তির শরীরে জ্বর, কাশি, সর্দির উপসর্গ থাকে, তাহলে তাঁকে ট্রেন পরিষেবা দেওয়া হবে না।
রেলওয়ের আধিকারিক জানান, ‘আগামী ১৫ ই এপ্রিল থেকে সংরক্ষিত নন-এসি স্লিপিং ক্লাসে যাত্রীদের ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে। এই ট্রেন গুলোতে সবই সংরক্ষিত কামরা থাকবে, কোন অসংরক্ষিত কামরা থাকবে না। এবং কোন এসি কামরাও থাকবে না। এমনকি যেসকল যাত্রী রেল পরিষেবা নিতে চাইবেন, তারাই কেবলমাত্র রেলস্টেশনে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। এই সময়ের মধ্যে কোনও স্টেশনে প্ল্যাটফর্মের টিকিট বিক্রয় করা হবে না। অর্থাৎ বিনা প্রয়োজনে কোন ব্যক্তিকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। এমনকি যেসব যাত্রীদের কাছে টিকিট রয়েছে, তাদেরও রেলস্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এই সময় প্রবীণ নাগরিকদের রেল স্টেশনে প্রবেশের কোন অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে না।
রেল ষ্টেশনে উপস্থিত সকল ব্যক্তিকে মাস্ক এবং গ্লাভস পড়তে হবে। রেলের তরফ থেকে যাত্রীদের জন্য স্বল্প মূল্যে মাস্ক এবং গ্লাভসও দেওয়া হবে। উত্তর রেলওয়ে লকডাউন অবস্থা শেষ হওয়ার পর ৩০৭ টি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যার মধ্যে ১৩৩ ট্রেনের ১০০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে।
এই রেল পরিষেবা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের ভ্রমণের প্রায় ১২ ঘণ্টা আগে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য জমা দিতে হবে। আবার ভ্রমণকালে যদি কোন ব্যক্তির কাশি, সর্দি, জ্বর ইত্যাদি রোগলক্ষণ প্রকাশ পায়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে তৎক্ষণাৎ ট্রেন থেকে নামিয়ে নেওয়া হবে। ট্রেনের সমস্ত দরজা জানলা বন্ধ করা থাকবে। যাতে করে কোন ব্যক্তি আচমকা ট্রেনে উঠে পড়তে না পারে। এছাড়াও যেসমস্ত ষ্টেশনে ট্রেন থামবে, তা আগে থাকতেই জানিয়ে দেওয়া হবে। সরকারের নির্দেশ মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একটা কেবিনে মাত্র ২ জন ব্যক্তিকে ভ্রমনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সবকিছুই সতর্কতা মেনে এবং সুরক্ষিত ভাবে করা হচ্ছে।