বাংলা হান্ট ডেস্ক: সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ক্রমবর্ধমান যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে রেল (Indian Railways)। ঠিক সেই রেশ বজায় রেখেই এবার রেল সাধারণ যাত্রীদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালাতে চলেছে। যেখানে খুব কম ভাড়ায় দুর্দান্ত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পাবেন যাত্রীরা।
সেই লক্ষ্যেই, কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশের ১০০ টি প্রধান রেলপথে পুশ-পুল ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেনারস লোকোমোটিভ ওয়ার্কসে (BLW) ৬০০ টি পুশ-পুল লোকোমোটিভ তৈরির জন্য টেন্ডার জারি করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ১০০ টি ইঞ্জিন সহ বিশেষ নন-এসি পুশ-পুল ট্রেন চালানো হবে। উল্লেখ্য যে, রাজধানী-শতাব্দীর মতো এই ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দিল্লি-মুম্বই-পাটনার মধ্যে এই পুশ-পুল ট্রেন চলবে। পাশাপাশি, দিল্লি এবং চেন্নাই-হায়দরাবাদের মধ্যেও এই ট্রেন চালানোর প্রস্তাব রয়েছে। যদিও, এটি এখনও রেলওয়ে বোর্ডের অনুমোদন পায়নি। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, রেলওয়ে বোর্ড সূত্র জানা গিয়েছে, ৬০০ টি পুশ-পুল ইঞ্জিন তৈরি করতে ১৫,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে। প্রাথমিকভাবে, পরীক্ষামূলকভাবে ১০০ টি ইঞ্জিন দিয়ে পুশ-পুল ট্রেন চালানো হবে। বাকি ইঞ্জিন দিয়ে মালগাড়ি চালানো হবে।
আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমেই শেয়ার বাজারে বিশাল ধস! ক্ষতির অঙ্ক জানলে হয়ে যাবেন “থ”
শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেন: উল্লেখ্য যে, উত্তরপ্রদেশ সহ বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে প্রচুর শ্রমিক দিল্লি, মহারাষ্ট্র, হরিয়াণা, পাঞ্জাব এবং দক্ষিণ ভারতে কাজ করতে যান। এই কারণে, শিল্পাঞ্চলের শহরগুলি থেকে এই রাজ্যগুলিতে ট্রেন চালানো হবে। এই ট্রেনে ২৩ টি কোচ থাকবে যার ভাড়া হবে সাধারণ শ্রেণির মতো।
আরও পড়ুন: ২০৩০-এর মধ্যেই জাপানকে হারিয়ে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত, সামনে এল বিরাট তথ্য
পুশ-পুল প্রযুক্তি: এই প্রযুক্তিতে ট্রেনের উভয় প্রান্তের ইঞ্জিন একই সময়ে ব্যবহৃত হয়। সামনের ইঞ্জিনটি ট্রেনটিকে টেনে নেয়, আর পেছনের ইঞ্জিনটি ধাক্কা দেয়। উচ্চ গতিতে ট্রেনকে টেনে নেওয়ার জন্য এই প্রযুক্তিটি ভালো। পাশাপাশি, পরবর্তী যাত্রার জন্য ট্রেনটিকে শান্টিং বা রিভার্স করার কোনো প্রয়োজন হয় না। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রেন দ্রুত চলে এবং স্টেশনে থামার সময়ও কমে যায়। যার কারণে টার্নরাউন্ড উন্নত হয়।