বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক সময়ে প্রবীণ নাগরিকদের টিকিটের উপর ছাড় দিত ভারতীয় রেল (Indian Railways)। কিন্তু করোনাকাল থেকে সেই ছাড় তুলে দেওয়া হয়। এখনও অবধি সেই ছাড় পুনর্বহাল করা হয়নি। প্রবীণ যাত্রীরা একাধিক বার নিজেদের অসুবিধার কথা জানিয়েছেন রেলকে। রেলের তরফেও পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে এ বার মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)।
করোনার সময় প্রবীণদের টিকিটের উপর ছাড় দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল ভারতীয় রেল। কারণ হিসেবে রেল জানিয়েছিল, ব্যাপক লোকসান হচ্ছে। তার জন্যেই সব রকম ছাড় তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সম্প্রতি আয়ের ব্যাপারে একটি তথ্য দিয়েছে রেল। তারা জানিয়েছে, বর্তমান অর্থবর্ষ তাদের জন্য বেশ সুবিধার হতে চলেছে। ২০২৩-এর জানুয়ারি অবধি পণ্য পরিবহণ থেকে রেলের আয় হয়েছে ১৩৫৩৮৭ কোটি টাকা।
গত বছর একই সময়ের তুলনায় রেলের আয় বেড়েছে ১৬ শতাংশ। গত জানুয়ারি অবধি ১৩৪.০৭ মেগাটন পণ্য পরিবহণ করেছে রেল। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এটি ছিল ১২৯.১২ মেগাটন। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর ৪ শতাংশ বেশি পণ্য পরিবহণ করেছে রেল। চলতি অর্থবর্ষে গত বছরের তুলনায় অনেকটাই ভাল আয় করেছে রেল। ২০২২-এর জানুয়ারিতে রেলের আয় ছিল ১৩১৭২ কোটি টাকা। অন্যদিকে, এ বছর রেলের আয় হয়েছে ১৪৯০৭ কোটি টাকা। ফলে আগের তুলনায় ১৩ শতাংশ উন্নতি হয়েছে রেলের রোজগারে।
রেলের এই আয় বৃদ্ধির কারণে যাত্রীরাও পুনরায় প্রবীণদের টিকিটের উপর ছাড়ের দাবি তুলেছেন। করোনার আগে প্রবীণ নাগরিকদের টিকিটের উপর ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ অবধি ছাড় দিত রেল। এ বিষয়ে এ বার উত্তর দিয়েছেন খোজ কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। রাজ্যসভায় একটি লিখিত প্রশ্নের উত্তরে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, খুব তাড়াতাড়িই এই ছাড় ফিরবে।
২০১৯-২০ সালে টিকিটের উপর ৫৯ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছিল রেল। ভ্রমণকারী প্রতি যাত্রীর জন্য গড়ে প্রায় ৫৩ শতাংশ ছাড়। রেলওয়ে বোর্ড জানিয়েছে, প্রবীণ নাগরিকদের ভাড়ায় ছাড় দেওয়ার একটি পরিকল্পনা হচ্ছে। আগের চেয়ে আলাদা হতে পারে এই ছাড়। এ নিয়ে স্থায়ী কমিটি (Standing Committe) কাজ করছে। অন্তত স্লিপার ও এসি ৩ টায়ারে ভ্রমণকারী প্রবীণ নাগরিকদের টিকিটে ছাড় দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই সুপারিশ করেছে সংসদীয় প্যানেলও।