বাংলাহান্ট ডেস্ক: মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের (suchitra sen) নাতনি, নিজেও নামী অভিনেত্রী। অথচ ব্যবহারে অহংকারের লেশমাত্র নেই! ফুটপাতের ছোট্ট দোকান থেকে সবার সঙ্গে দাঁড়িয়ে নুডলস খেয়ে চলে গেলেন, এদিকে স্বয়ং দোকানদারই জানতে পারলেন না! এমনি ঘটনা ঘটেছে বুধবার বিধাননগরে।
সংবাদ প্রতিদিন সূত্রে খবর, এদিন সন্ধ্যায় সেখানে এক ক্লিনিকের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন রাইমা সেন (raima sen)। উদ্বোধন সেরে বাইরে রাখা গাড়িতে সবে উঠতে যাবেন, তখনি নজরে পড়ল অদূরে একটি ছোট্ট খাবারের দোকানে। নুডলস, ডিমের অমলেট, চা এসবই পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতের এক চিলতে দোকানে।
পাঁচতারা রেস্তোরাঁ ছেড়ে রাইমার নজর পড়ল ওই দোকানেই। পায়ে পায়ে এগিয়ে গেলেন। দোকানদার কমলাকান্ত দাস তখন এক মনে নুডলস, চা বানাতে ব্যস্ত। দোকানে দাঁড়িয়েই এক প্লেট নুডলসের অর্ডার দিলেন রাইমা। শীতের সন্ধ্যায় শোলার প্লেট হাতে নিয়ে গরমাগরম নুডলস উপভোগ করলেন তাড়িয়ে তাড়িয়ে। আবার সাধারন ক্রেতার মতো পেঁয়াজ, লঙ্কা বেশি করে দেওয়ারও অনুরোধ করলেন।
রাইমাকে দেখে চিনতেই পারেননি দোকানদার কমলাকান্ত। যদিও আশেপাশে তখন কৌতূহলী মানুষের ভিড়। প্রিয় অভিনেত্রীকে সামনে পেয়ে সবাই ছবি তুলছেন। প্রায় দশ মিনিট ধরে দোকানে দাঁড়িয়ে নুডলস খেলেন রাইমা। আবার এক প্লেট প্যাক করে নিয়েও গেলেন। এদিকে দোকানদার বিরক্তি প্রকাশ করছেন লোকজনের হাবভাব দেখে। সুন্দরী দেখেই নাকি সবাই ‘হামলে’ পড়ে!
তা এই ‘সুন্দরী’ যে আসলে কে ছিলেন তা যখন জানতে পারলেন তখন তাঁর অবাক হওয়ার পালা। স্বয়ং সুচিত্রা সেনের নাতনি তাঁর দোকানে দাঁড়িয়ে নুডলস খেয়েছেন আর তিনি চিনতেই পারেননি! নিজের দূর্ভাগ্য মনে করছেন কমলাকান্ত। তারপরেই অবশ্য রাইমার দৌলতে দোকানের বিক্রিবাটা আরো বেড়ে যাবে শুনে মুখে হাসি তাঁর। জানালেন, এর আগে নাকি দেবকেও চা খাইয়েছিলেন তিনি। এরপরে আবার কোন তারকা তাঁর দোকানে হাজির হন সেটাই দেখার অপেক্ষা।