বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত সপ্তাহ থেকেই বৃষ্টিতে ভিজছে উত্তরবঙ্গের একাংশ। শনিবার রাতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে উত্তরের অনেক জায়গায়। তবে অন্যদিকে চরম গরমে হাঁসফাঁস দশা দক্ষিণবঙ্গবাসীর। সপ্তাহের শুরুতেই উত্তরে প্রবেশ করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। তারপর থেকেই মাঝারি উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে এখনও দক্ষিণবঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে সূর্য। দেখা নেই বর্ষার। কারণ কী?
কেন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার আগমনের বিলম্ব, এবার কারণ জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর উত্তরবঙ্গের মালদায় আটকে রয়েছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। সেই কারণে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এখনও ধরা দিল না। তবে খুব শীঘ্রই পরস্থিতির বদল হতে চলেছে।
আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather office) সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে আগামী ২১ জুনের মধ্যে ঢুকছে বর্ষা। তারপর থেকে আস্তে আস্তে এই বৃষ্টিপাতের পরিমান বাড়বে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। দুদিন থেকে কিছু সময়ের জন্য বৃষ্টি হওয়ায় লাগাতার বাড়তে থাকা গরম থেকে একটু হলেও স্বস্তি পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষও।
শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজেছে দক্ষিণবঙ্গ। তবে দক্ষিণের বিক্ষিপ্ত অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হলেও এখনই শেষ হচ্ছে না তীব্র গরম। পুরুলিয়া , বাঁকুড়া , ঝাড়গ্রাম , পশ্চিম মেদিনীপুর , পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকতে পারে আরও কিছু দিন। দক্ষিণবঙ্গে নির্ধারিত সময়ের পরেই ঢুকছে বর্ষা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather office) সূত্রে খবর, এবার বর্ষার শুরুটা অত্যন্ত দুর্বল হবে পাশাপাশি বর্ষা এগোবেও অত্যন্ত ধীর গতিতে৷ আগামী কিছুদিন উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি , কোচবিহার , আলিপুরদুয়ারে রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচটি জেলায় (দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার) ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কয়েকটি অংশ অতি ভারী বৃষ্টিতে (৭০ মিলিমিটার থেকে ২০০ মিলিমিটার) ভিজবে বলে খবর হাওয়া অফিস সূত্রে।