বাংলাহান্ট ডেস্ক: কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (Kolkata International Film Festival) নিয়ে তরজা অব্যাহত। দায়সারা ভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ফোন বা এসএমএস করারও প্রয়োজন মনে করেনি। উৎসব কমিটির বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। প্রশ্ন উঠেছিল, তাঁর অভিযোগের তীর কি কমিটির চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) দিকে?
সদ্য শেষ হয়েছে ২৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। কিন্তু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সপ্তাহ ব্যাপী উৎসবে একদিনের জন্যও দেখা যায়নি মিমিকে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ডাক মারফত তাঁকে আমন্ত্রণ পত্র পাঠিয়েই খালাস হয়ে গিয়েছেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু কবে কোন অনুষ্ঠান হয়েছে, সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে তা জানানো হয়নি তাঁকে, অভিযোগ মিমির।
তাঁকে যদি আগে থেকে জানানো হত তবে তিনি নিশ্চয়ই যেতেন বলে জানান মিমি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা করে যাদের দায়িত্ব দিয়েছেন তারা কেউই নিজেদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে পারেনি বলেই অভিযোগ মিমির। ফোন তো দূরের কথা, একটা এসএমএসও আসেনি তাঁর কাছে।
মিমির অভিযোগের উত্তরে এবার মুখ খুলেছেন রাজ। তিনি উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি জানান, কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। পরিচালক সুদেষ্ণা রায় সাংসদ অভিনেত্রী মিমিকে নিজে ফোন করেছিলেন চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে পারফর্ম করার জন্য। কিন্তু মিমিই জানান যে তিনি ব্যস্ত।
রাজ আরো জানিয়েছেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন সকালেও আয়োজকদের তরফে ফোন করা হয়েছে মিমিকে। অথচ তিনি বলছেন তাঁর কাছে নাকি কোনো ফোন আসেনি। এবারে মাত্র ১৫ দিনের মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করার। তাই ১০ দিন আগে থেকে মিমি কেন, কাউকেই জানানো সম্ভব হয়নি।
২০১৯ সালে চলচ্চিত্র উৎসবের একটি ঘটনাতেও অপমানিত বোধ করেছিলেন মিমি। সেবারে তিনি অতিথিদের আসনে ছিলেন। অথচ বাকি সবার নাম ঘোষনা করা হলেও সঞ্চালকেরা বেমালুম ভুলে যান তাঁকে। সবার শেষে বলা হয়, মিমিও সঙ্গে রয়েছেন।
এ বিষয়ে রাজ জানান, অনেকের নাম ছিল তালিকায়। সঞ্চালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ভুলবশত মিমির নামের সঙ্গে ‘সাংসদ’ শব্দটি উচ্চারণ করতে ভুলে গিয়েছিলেন। এর জন্য পরে পরমব্রত নিজে মিমির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এবারেও রাজ বলেন, আয়োজকদের কোনো আচরণে সাংসদ অভিনেত্রী ক্ষুন্ন হয়ে থাকলে তাঁরা ক্ষমাপ্রার্থী।