বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পরিচালনার পাশাপাশি রাজনীতির দুনিয়াতেও নাম লিখিয়ে ফেলেছেন রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক তিনি। এবার তাঁর মুখেই শোনা গেল কড়া হুঁশিয়ারি। শুক্রবার ব্যারাকপুরের বি এন বসু হাসপাতালের কাজ পরিদর্শনে এসে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।
ব্ল্যাক লিস্টেড করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি রাজের (Raj Chakraborty)!
সরকারি কাজে গাফিলতি নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কোনও রকম গাফিলতি যে সহ্য করা হবে না, তা স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের কাজে গাফিলতির অভিযোগে নবান্নের তরফ থেকে ১৯ জন ইঞ্জিনিয়ার, ১৫৫ জন ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। এবার কার্যত একই সুর শোনা গেল ব্যারাকপুরের বিধায়কের গলায়।
বি এন বসু হাসপাতালের (B N Bose Hospital) উন্নয়নের জন্য বিধায়ক তহবিল থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন রাজ। এদিন কাজ পরিদর্শনে এসেই চটে যান তিনি। তৃণমূল বিধায়ক হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, কাজে যদি গতি না আনা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ব্ল্যাক লিস্টেড করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ ১০০০ ভুলে যান! মাসে মাসে ২১০০ টাকা করে পাবেন মহিলারা, নববর্ষের আগেই ধামাকা প্রকল্প
জানা যাচ্ছে, এদিন হাসপাতাল পরিদর্শনে রাজ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সমুদ্র সেনগুপ্ত, কাউন্সিলর নৌসাদ আলম, ভারপ্রাপ্ত সুপার সঞ্জয় গুহ সহ অন্যান্য একাধিক আধিকারিক। হাসপাতালে কাজের গতি দেখেই ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক।
রাজ (Raj Chakraborty) বলেন, ‘যারা কাজটা পেয়েছেন, ভীষণ ধীর গতিতে করছেন। এর ফলে গরিব মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঠিকাদারের গয়ং গচ্ছ মানসিকতার কারণে সরকারের বদনাম হচ্ছে। আমরা এই জিনিস বরদাস্ত করব না। কাজে যদি গতি না আনা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ব্ল্যাক লিস্টেড করা হবে’।
এদিন বি এন বসু হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে রাজের (Raj Chakraborty) কানে আসে, ন্যায্য মূল্যের একটি কাউন্টার থাকলেও ফের একটি ওষুধের কাউন্টার খোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, দুই কাউন্টারে দুই দামে ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, ‘একজন থাকা সত্ত্বেও কীভাবে আরেকজন টেন্ডার পেল? কারা জড়িত, কীভাবে এই টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হল, কে টেন্ডার পাইয়ে দিল, আমাদের এগুলো জানতে হবে। বাঁকা পথে যিনি টেন্ডার পেয়েছেন, তাঁকে ব্ল্যাক লিস্টেড করে দেওয়া হবে’।