বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউড থেকে টলিউড (Tollywood), সর্বত্র এখন সিনেমা বয়কটের ডাক। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) পরিচালিত ছবি ‘ধর্মযুদ্ধ’কে। বহুদিন পর রাজনৈতিক ঘরানার ছবিতে ফিরেছেন রাজ। আর ফিরেই বয়কটের মুখে।
সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গিয়েছে বয়কটের হুঙ্কারে। পোস্টগুলির বক্তব্য মোটামুটি এক। এই ছবিতে হিন্দু ধর্মকে নিশানা করা হয়েছে। হিন্দুবিরোধী ছবি বলে অভিযোগ করে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ‘রাজ খান চক্রবর্তী’ বলে কটাক্ষ শানিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘সনাতন ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার সাহস এরা কোথা থেকে পায়?’
এমনি একটি পোস্টের স্ক্রিনশট তুলে রাজ পালটা টুইটে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ধর্মযুদ্ধ’-এ কোথাও গলা কাটা তো দূরে থাক, এক ফোটা রক্তপাতও দেখানো হয় নি। আর তোমরা সিনেমাটা না দেখেই বয়কটের ডাক দিচ্ছো? তোমরা কী ছাগল না পাগল?’
সংবাদ মাধ্যমের কাছেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পরিচালক। কেউ যদি তাঁর ছবিটা দেখে সমালোচনা করেন তবে তিনি শুনতে রাজি। কিন্তু ছবি না দেখে শুধু নাম নিয়ে এসব কথা রটালে তিনি মানবেন না। রাজের দাবি, টাকা দিয়ে এ ধরণের কাজ করানো হয়। অন্যকে কাঠি করাটাই কিছু মানুষের কাজ। ইচ্ছা করে অশান্তি সৃষ্টি করা হয় এভাবে।
'ধর্মযুদ্ধ'-এ কোথাও গলা কাটা তো দূরে থাক, এক ফোটা রক্তপাতও দেখানো হয় নি। আর তোমরা সিনেমাটা না দেখেই বয়কটের ডাক দিচ্ছো? তোমরা কী ছাগল না পাগল? pic.twitter.com/Oa0fkVg98l
— Raj chakrabarty (@iamrajchoco) August 14, 2022
ছবির ট্রেলার প্রকাশ্যে আসার পর প্রথমেই অভিনেত্রী পার্নো মিত্রকে কটাক্ষ করে ধর্মযুদ্ধ বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই সুর চড়িয়েছিলেন বিজেপিরই তারকা সদস্য পার্নোর বিরুদ্ধে।
টুইটে তিনি কটাক্ষ করেছিলেন, ‘আরে, ইনি ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দুত্ববাদী একটি পার্টির একজন কামিনী, সরি প্রার্থী, ছিলেন না ? এখন মানুষের পরিচয় বোঝাতে ময়দানে নেমেছেন? বেশ, বেশ! সকলের কাছে আহবান জানাচ্ছি এই ভণ্ডামির সমুচিত উত্তর দিতে। বয়কট করুন ! হিন্দুবিরোধী ভণ্ডামি নিপাত যাক!’ তখনও উত্তরও দিতে পিছপা হননি রাজ।