বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ নিয়ে মুখ খুলে বিষ্ফোরক অভিযোগ করলেন পরিচালক তথা তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। রাজ্য জুড়ে আরজিকর ধর্ষণ এবং খুনের প্রতিবাদে বজায় রয়েছে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। এর মাঝেই রাজ্যের শাসক দলের অস্বস্তি আরো বাড়িয়ে সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ (The Diary of West Bengal)। পরিচালক সনোজ মিশ্রের ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে ট্রেলার মুক্তির পরেই তুঙ্গে উঠেছিল বিতর্ক। এবার ছবি মুক্তির পর এ বিষয়ে মুখ খুললেন রাজ (Raj Chakraborty)।
বিতর্কিত ছবি নিয়ে বিষ্ফোরক রাজ (Raj Chakraborty)
ধর্মের নামে বিভাজন সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল নিয়ে এমনটাই মত রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty)। রবিবার ব্যারাকপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ দাসের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল কর্মমেলা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীও (Raj Chakraborty)। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি স্পষ্ট বলেন, দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ছবির ট্রেলার তিনি দেখেছেন। একজন পরিচালক হিসেবে বলবেন, অত্যন্ত কাঁচা, কুৎসিত কাজ। এরপরেই রাজ মন্তব্য করেন, ট্রেলার দেখেই বোঝা যাচ্ছে ধর্মের নামে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। বাংলার সংষ্কৃতি এবং কৃষ্টির উপরে আঘাত হানা হচ্ছে। বাংলাকে কলঙ্কিত করার জন্য রাজনৈতিক প্রচারমূলক একটি সিনেমা এটি। বাংলার মানুষ একে সফল হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেন রাজ (Raj Chakraborty)।
আরো পড়ুন : Rekha: একত্রে সম্পর্ক বাবা-ছেলের সঙ্গে, বলিউড নায়িকার ঘর ভেঙে ‘ডাইনি’ তকমা জুটেছিল রেখার
শতাধিক চাকরি ব্যারাকপুরের কর্মমেলায়
এদিন কর্মমেলায় রাজের (Raj Chakraborty) পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, সোমনাথ শ্যামের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। মোট ১ হাজার ৫০০ জন চাকরীপ্রার্থী উপস্থিত হয়েছিলেন এদিনের কর্মমেলায়। উপস্থিত ছিলেন ৫৪ টি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। কাউন্সিলর জয়দীপ দাস জানান, ব্যারাকপুর, নৈহাটি, বারাসত, ভাটপাড়া, জগদ্দল, খড়দহ থেকেও প্রচুর ছেলেমেয়েরা এদিন এসেছিলেন কর্মমেলায়। ইন্টারভিউ এর পরেই অন স্পট চাকরি পেয়েছেন ১২০ জন। ৬০০ র ও বেশি চাকরিপ্রার্থীদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন : Dharmendra-Hema: প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে, এখন আর একসঙ্গে থাকেন না ধর্মেন্দ্র-হেমা
প্রসঙ্গত, সমগ্র দেশে ৬০০ টিরও বেশি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল। ছবিটির ট্রেলার প্রকাশ্যে পাওয়ার পরেই মুক্তি আটকাতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মত দিয়েছিল, রাজ্যের মানুষ সহনশীল। তাদের বিচার বিবেচনার উপরেই বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হোক। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি আরো বলেছিলেন, সিনেমা বা বই নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট নির্দেশ রয়েছে। দর্শকের ইচ্ছা হলে দেখবে, নয়তো নয়। গণতান্ত্রিক দেশে এমনটাই হওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দেশজুড়ে ছবি মুক্তি পেলেও বাংলার কোনো হলে দেখানো হচ্ছে না দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল। ‘বিতর্কিত ছবি’ প্রদর্শন থেকে দূরে থাকতে চেয়েছেন শহরের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহের মালিকরা। আবার এমনও শোনা যাচ্ছে, ছবির প্রযোজক নাকি বাংলায় এই ছবি মুক্তি দিতে চাননি।