বাংলাহান্ট ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে হারে রাজনৈতিক দলবদল হয়েছে তেমনি হয়েছে রাজনীতিতে যোগদান। অনেকেই তৃণমূলের (tmc) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। উলটোটাও হয়েছে অবশ্য। কিন্তু নির্বাচনে তৃণমূল জেতার পরপরই আবারো সবুজ শিবিরে ফেরার জন্য ঝুঁকেছেন ‘দলবদলু’দের অনেকেই। তাদের আবারো তৃণমূলে ফেরানো উচিত কি না তাই নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দল।
অপরদিকে দলত্যাগীদের তৃণমূলে ফেরানোর পক্ষেই মত দিলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী (raj chakraborty)। তিনি বলেন, তাঁর ব্যক্তিগত মতে যারা তৃণমূলে আবারো ফিরতে চাইছেন তাদের ফেরানোই উচিত। তবে শেষ সিদ্ধান্তটা অবশ্যই নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংষ্কৃতিক কমিটির বৈঠকে বসেছিলেন রাজ। তিনিই দলের সাংষ্কৃতিক সেলের দায়িত্বে রয়েছেন। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য বসু, ইন্দ্রনীল সেন, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। বৈঠকের পরে দলত্যাগীদের ফেরানোর প্রসঙ্গে রাজ বলেন, তাঁর ব্যক্তিগত মতে তাদের ফেরানো উচিত।
রাজ বলেন, শিল্পীদের কোনো ব্যরিকেড থাকে না। তবে দলত্যাগীদের আবার ফেরানোর মতটা তাঁর একান্তই ব্যক্তিগত বলে জানিয়েছেন রাজ। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। উল্লেখ্য, ‘দলবদলু’দের আবারো দলে ফেরানো নিয়ে কার্যত দু ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। একদল তাদের ফেরানোর পক্ষে। অন্যরা আবার এই সিদ্ধান্তের বিরোধী।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনে জিতেই কাজে নেমে পড়েছেন রাজ চক্রবর্তী। এখানকার নিকাশি ব্যবস্থা, ভাগাড়ের সমস্যা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তবে একদিনে তো সব কাজ সম্ভব নয়। তাই ধৈর্য ধরতে বলেছেন রাজ। পাশাপাশি ব্যারাকপুরের মানুষদের ধন্যবাদ জানানোর জন্য প্রতিটি বাড়িতে চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনাও করেছেন বলে জানান রাজ। দ্রুত সমস্যার কথা জানিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তাঁর ফোন নম্বরও থাকবে চিঠিতে।