বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিউডে কাজের পরিমাণ কমিয়ে দিলেও মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) এখনো অনেকের কাছেই বড় ‘দাদা’র মতো। আশির দশকে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হয়ে তিনি তারকা হওয়ার লক্ষ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বই। স্ট্রাগল করে শক্ত করেছিলেন পায়ের তলার মাটি। বলিউডে সুপারস্টার হওয়ার পাশাপাশি টলিউডেও ছিল মিঠুনের দাপট। সম্প্রতি ‘প্রজাপতি’ ছবির হাত ধরে কামব্যাক করার পর বোঝা গেল সেই দাপট এখনো হারিয়ে যায়নি মহাগুরুর।
এবার জানা গেল, কাজ চেয়ে মিঠুনকে চিঠি লিখেছিলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তীও (Raj Chakraborty)। কয়েক বছর আগে জি বাংলার ‘অপুর সংসার’ শোতে অতিথি হয়ে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই রাজ জানিয়েছিলেন, মিঠুনকে চিঠি লিখেছিলেন তিনিও। সাহায্য চেয়ে ‘দাদা’র কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ।
হ্যাঁ, রাজ নাকি মিঠুনের ভাই। অন্তত পরিচালকের ছোটবেলায় এমনটাই ধারণা ছিল। অপুর সংসারে সঞ্চালক শাশ্বতর প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন, ছোটবেলায় তার জীবনে প্রচুর সমস্যা ছিল। কেমন সমস্যা? রাজ জানান, তিনি পড়তে বসে ঘুমিয়ে পড়লেই তাঁর মা তাঁকে মারতে মারতে বাড়ির বাইরে বের করে দিতেন।
তাতে অবশ্য ভালোই হত রাজের। তিনি নাচতে নাচতে ছুটতেন তাঁর প্রিয় অভিনেতা মিঠুনের ছবি দেখতে। রাজের মা সেখান থেকেই তাঁকে কান ধরে টানতে টানতে নিয়ে আসতেন আর মাথায় ঠাণ্ডা জল ঢালতেন। সব মিলিয়ে বেশ নাজেহাল অবস্থা হত রাজের। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতেই মিঠুনের শরণাপন্ন হন তিনি।
রাজ জানান, তিনি শুনেছিলেন যে কেউ সাহায্য চাইলে মিঠুন তাঁকে সাহায্য করেন। তাই বিপদে তাঁর কথাই মনে পড়েছিল রাজের। তিনি ভেবেছিলেন, তিনিও চক্রবর্তী আর মিঠুনও চক্রবর্তী। অর্থাৎ তিনি অভিনেতার ভাই। সেই থেকেই তিনি চিঠি লিখেছিলেন মিঠুনকে, আর্জি জানিয়েছিলেন রাজকে যেন একটা কাজ দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে রাখেন তিনি। তাঁর আর পড়ার ইচ্ছা ছিল না। সেই সঙ্গে চক্রবর্তী হওয়ায় দাদা-ভাইয়ের কানেকশনটাও উল্লেখ করেছিলেন রাজ। যদিও মিঠুনের তরফে কোনো উত্তর এসেছিল কিনা তা জানাননি পরিচালক।