বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ধর্মীয় ইস্যুকে কেন্দ্র করে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের পরিস্থিতি। জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি থাকার দাবি এবং সেই সংক্রান্ত মামলায় মসজিদের ভিতরে সম্প্রতি শিবলিঙ্গ পাওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যে উত্তাল হয়ে রয়েছে গোটা দেশ। তার মাঝেই এবার মহারাষ্ট্রে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সমাধি গুঁড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হল।
দীর্ঘদিন ধরে মহারাষ্ট্রে একের পর এক ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেধে চলেছে। প্রথমে মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহারকে কেন্দ্র করে রাজ্যের একাধিক প্রান্তে আন্দোলন চালাতে থাকে কিছু শ্রেণীর মানুষ আর এর মাঝে সৃষ্টি হলো নতুন এক বিতর্ক! বর্তমানে মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে সমাধিস্থলের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে খবর।
সম্প্রতি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সমাধি দর্শন করতে আসেন এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। স্বভাবতই, তাঁর আসার পর থেকেই পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। সেই সময় শরদ পাওয়ার বলেন, “বর্তমানে দেশে যে রকম পরিস্থিতি চলছে, তার মধ্যে উনি এখানে কেন এলেন? এতে আবার নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে।” আর বর্তমানে তাঁর সেই আশঙ্কা সত্যি হলো! এদিন রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা দলের তরফ থেকে এই সমাধিস্থল ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হল।
এদিন তাদের দলের এক নেতা গজানন কালে বলেন, “মহারাষ্ট্র শিবাজীর স্থান। সেখানে কোন মুঘল শাসকের সমাধি থাকতে পারে না। ওই সমাধিস্থল যদি ধ্বংস করে দেওয়া হয়, তাহলে ঔরঙ্গজেবের কোন উত্তরাধিকার এখানে এসে মাথা নোয়াতে পারবে না।” স্পষ্টতই আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মহারাষ্ট্র সফরকেই খোঁচা মারেন তিনি। এছাড়াও তিনি বাল ঠাকরে প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরে ঔরঙ্গজেবের সমাধি স্থল ধ্বংস করে দিতে চাইতেন। আমি শিবসেনা নেতাদের বলতে চাই যে, আপনারা কি বালা সাহেবের কথা এড়িয়ে যেতে চাইছেন?”
নবনির্মাণ সেনা দলের নেতার এই দাবির পরেই তৎপর হয় মহারাষ্ট্রের এক শ্রেণির মানুষ। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার নিকট হাজির হয়ে সমাধিস্থল বন্ধ করে দেওয়ার আর্জি জানানো হয় যাতে পরবর্তীতে সেটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কোনরকম আশঙ্কা না থাকে। তবে বর্তমানে সংস্থার সুপারিটেন্ডেন্ট বলেন, “আমাদের কাছে আপাতত কোনো রকম লিখিত আবেদন আসে নি। তাই আমরা এখনো পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবি নি। লিখিত আবেদন আসলে তারপর ভাবনা চিন্তা করব।” তবে উদ্ধব সরকারের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যে 6 জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর।