বাংলাহান্ট ডেস্ক : আরও বিপদে চলেছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। ‘শিবশম্ভু’ চালকলের মালিক হিসাবে যিনি পরিচিত আদতে তিনি মালিক নন। এমনকি ওই চালকলের মালিক ঠিক কে তাও জানেন না তিনি। এদিন সংবাদমাধ্যমকে এমনই জানালেন অনুব্রতর ভাগ্নে রাজা ঘোষ। সোমবার সকালে ওই চালকলে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই-র (CBI) সঙ্গে ছিল ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার (FCI) আধিকারিকরাও।
‘ভোলে বোম’ চালকলের পর সোমবার সকালে ‘শিবশম্ভু’ চালকলে হানা দেন সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিকরা। বোলপুরের বাঁধগড়া এলাকায় ১০-১২ বিঘা জমির উপর তৈরি হয়েছে ওই চালকল। জানা যায়, ওই চালকলটি শিবানী ঘোষ নামের এক মহিলা লিজ নিয়েছেন। এদিকে রাজার মায়ের নাম হল শিবানী ঘোষ। এ বিষয়ে রাজা দাবি করে, ‘আমার মা যে ওই চালকলের মালিক, তা আমি প্রথম বার শুনছি। ওই চালকলের মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কাছে কোনও তথ্যই নেই।’
রাজার আরও জানায়, ‘শিবশম্ভু চালকলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্কই নেই। কেউ যদি এই দাবি করেও থাকেন, তা হলে তিনি ভুল করছেন। আমি ওই মিলের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নই। আমি জীবনে কোনও দিন ওই মিলে পা দিইনি। ওখানে কী আছে, না আছে তা তো আমি জানি না। ওখানে কেউ কোনও দেখেননি আমাকে। আমি একা অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে নই। আরও পাঁচ ভাগ্নে আছে।’’ রাজা আরও জানান, ‘আমি এবং আমার স্ত্রী পারমিতা মোহনানন্দ রাইস মিলের ডিরেক্টর।’
একাধিক বিতর্ক এবং সংবাদমাধ্যমে নাম উঠে আসা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাজা। তিনি বলেন, ‘আমার মা বলুন, বা মামা বলুন, তাঁদের আত্মীয় হওয়াটা কি আমার অপরাধ? অনুব্রত মণ্ডলের আরও পাঁচ ভাগ্নে আছে। আত্মীয়তার সম্পর্ক, রক্তের সম্পর্ক তো মুছে দেওয়া যায় না। এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের অযথা হেনস্তা করা হচ্ছে।’ কে এই ‘শিবশম্ভু’ চালকলের মালিক? এটা জানতেই এখন হন্যে হয়ে তদন্ত করছে সিবিআই।