বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজস্থান সরকার ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস”কে (Black Fungus) মহামারী ঘোষণা করে দিয়েছে। গেহলট সরকার এই ঘোষণা করে জানিয়েছে যে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বিপজ্জনক রূপ নিচ্ছে আর দেশে অনেক রাজ্যেই দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। সেই কারণে এই বিষয়ে অত্যাধিক নজর দেওয়ার দরকার। বলে দিই, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস একটি দুর্লভ ইনফেকশন। এই মারাত্মক সংক্রমণ একদল ছত্রাকের কারণে ঘটে। এই ছত্রাক পুরো পরিবেশ জুড়ে বেঁচে থাকে। এটি সাইনাস বা ফুসফুসকে প্রভাবিত করে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন টুইট করে জানিয়েছেন যে, চোখে লালচে বা ব্যথা, জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অস্পষ্ট দৃষ্টি, বমিভাব বা মানসিক অবস্থার পরিবর্তন কালো ছত্রাকের লক্ষণ হতে পারে।
করোনা থেকে সেরে ওঠা অথবা সংক্রমণের সময় রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রকোপে আসতে পারে। এই ইনফেকশনের কারণে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। AIIMS দিল্লীর নিরদেশক ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, স্টেরয়েড সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের জন্য প্রয়োজন হয়, যদি এই ওষুধগুলি রোগীদের আরও বেশি দিন দেওয়া হয় তবে কালো ছত্রাকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। স্টেরয়েড দেওয়া রোগীদের উপর নজর রাখাও স্বাস্থ্যকর্মীদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থেকে বাঁচার জন্য রোগীদের দেখভাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বিপদ বেড়ে চলেছে। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, দিল্লী আর কর্ণাটক ছাড়া দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বেড়ে চলেছে। আরেকদিকে হরিয়ানা সরকারও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে নোটিফায়েড রোগ ঘোষণা করেছে।