মাত্র ৮ বছর বয়সে বিয়ে! দুই সন্তানের মা রুপা এখন চিকিৎসক! জোরকদমে চালাচ্ছেন নিট পিজি’র প্রস্তুতি

   

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রুপা যাদব রাজস্থানের (Rajasthan) এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা। দুই সন্তানের মা রুপা। সম্প্রতি নিট সংক্রান্ত যে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে তাতে রীতিমতো ক্ষুদ্ধ রুপা। বিতর্কের জন্য বাতিল করা হয়েছে নিট পিজি’র পরীক্ষাও। এবার আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে নিট পরীক্ষা নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তার সাথে কী সম্পর্ক রূপার? রুপা ২০১৭ সালে নিট ইউজি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সবাইকে অবাক করে দেন। 

এখন তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিট পিজি’র। তবে বিতর্কের কারণে এই পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাওয়ায় রূপা অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ। রুপা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ”দিনরাত পরিশ্রম করেছি এই পরীক্ষায় ভাল ফলের আশায়। এখন পরীক্ষা বাতিলের খবর শুনে রাগ হচ্ছে। তবে পরীক্ষা হওয়ার আগেই তা বাতিল হয়েছে বলে কিছুটা আশ্বস্ত আমি। কারণ আরও কিছুটা সময় পাব প্রস্তুতি নেওয়ার।” বর্তমানে রূপা যাদব একজন চিকিৎসক।

আরোও পড়ুন : দু’দিন পরেও ফিরে পেলেন না কোলের সন্তান! খালি হাতেই ফিরলেন নিগৃহীতা মা!

রুপা নাগৌড় জেলার খারিয়া গ্রামের একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার হিসাবে কর্মরত। তবে ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করেছেন রুপা। ডাক্তার হওয়া মোটেও সহজ কাজ ছিল না তার জন্য। মাত্র ৮ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায় রুপার। এত কম বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরেও পড়াশোনায় কিন্তু ভাঁটা পড়েনি। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী রুপা ৮৪ শতাংশ নম্বর নিয়ে দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তারপর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সাহায্যে রুপা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন।

আরোও পড়ুন : ‘অন্য আদালতে যান..,’ জনস্বার্থ মামলায় বিরাট মন্তব্য, কী জানাল কলকাতা হাইকোর্ট?

তবে প্রথম থেকেই অর্থ বারবার অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছিল রূপার পড়াশোনার ক্ষেত্রে। রুপা নিট ইউজি উত্তীর্ণ হন ২০১৭ সালে। তবে তার আগেও তিনি এই পরীক্ষায় বসেছিলেন। ৪১৫ নম্বর পেয়ে ২৩,০০০ র‍্যাঙ্ক করেছিলেন রুপা। রুপার কথায়,  ”আমাকে সাহায্য করবে বলে নিজের পুরনো বাড়ি ছেড়েছে ও। সংসারের বাড়তি খরচ সামলানোর জন্য একসঙ্গে একাধিক কাজও করেছে। এখন বাড়ির সামনে একটি দোকান চালিয়েই আমাকে সাহায্য করে।”

Dr Rupa Yadav 2 1 1 1671265537

রুপা ছোটবেলায় নিজের সামনে থেকে দেখেছেন কাকার মৃত্যু। পর্যাপ্ত ওষুধের অভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় রুপার কাকার। তারপর থেকে চিকিৎসক হওয়ার জেদ আরও বেড়ে যায় রুপার মধ্যে। প্রথমে মেডিসিনের ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন রুপা। তবে করোনার সময় গর্ভাবস্থায় কিছু সমস্যা দেখা দিলে তিনি সিদ্ধান্ত বদল করেন। এখন রুপার স্বপ্ন আগামী দিনে গাইনোকোলজিস্ট হওয়ার।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর