কালিয়াগঞ্জে পুলিসের গুলিতে মৃত রাজবংশী যুবক! ‘মমতাই দোষী’, দাবি শুভেন্দু-তরুণজ্যোতির

বাংলা হান্ট ডেস্ক : নাবালিকাকে (Kaliaganj Rape Case) ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তেজনার মধ্যেই পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হল রাজবংশী যুবকের। এরপরই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের (Dinajpur) কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj)। অভিযোগ, বুধবার রাতে কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকার ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাধিকাপুরের চাঁদগাঁও এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত যুবকের নাম মৃত্যুঞ্জয় বর্মন (৩৩)।

কী হয়েছিল গতরাতে? বুধবার গভীর রাতে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মনের বাড়িতে হানা দেয় পুলিস। রাত তখন আড়াইটে। সেইসময় বাড়িতে ছিলেন না বিষ্ণুবাবু। তাঁকে না পেয়ে তাঁর বৃদ্ধ বাবা – মাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পুলিসকর্মীরা। বিষ্ণুবাবুর প্রতিবেশী তথা ভাইপো মৃত্যুঞ্জয় বর্মন পুলিসকে প্রশ্ন করতে শুরু করে। অভিযোগ, পুলিসের কাজে বাধা দেন। তখন পুলিসকে ঘিরে ধরে প্রতিরোধ তৈরি করে জনতা। উত্তেজিত জনতাকে লক্ষ্য করে ২ রাউন্ড গুলি চালায় পুলিস। একটি গুলি লাগে মৃত্যুঞ্জয়বাবুর দেহে। তাঁকে দ্রুত কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে যুবককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

কী বললেন শুভেন্দু? রাজবংশী যুবকের মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এদিন বিরোধী দলনেতা রাজ্য প্রশাসনকে তোপ দেগে টুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘অত্যাচার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস শেষ পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে। নাগরিক অস্থিরতা মারাত্মক আকার নিয়েছে। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্রাট নিরোর মতো আনন্দে উৎসবে মেতে রয়েছেন।’ শুভেন্দু আরও দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালিয়াগঞ্জের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিস তা পালন করল। এই হত্যার সম্পূর্ণ দায় মুখ্যমন্ত্রীর।’

দেবশ্রী চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া : একই দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীও। তিনি বলেন, পুলিসের গুলিতে নিরীহ রাজবংশী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পৌঁছে গিয়েছেন। এদিকে মৃত যুবককে নিজেদের দলের কর্মী বলে দাবি করেছেন উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার।

কী বললেন তরুণজ্যোতি? বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি লেখেন, ‘রাজবংশী সম্প্রদায়ের একজন যুবক বলেই মনে হয় গুলি করা সম্ভব হলো মমতার পুলিসের পক্ষে। যদি দুধ দেওয়া গরু হতো তাহলে বাড়িতে বকশিশ পৌঁছে যেত, ঠিক যেমন একাধিক থানা পুড়িয়ে দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার ঘটনায় ঘটেছে। মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে পুলিস গতকাল রাত আড়াইটার সময় এক রাজবংশী যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে গুলি করে।

পুলিসকে হুঁশিয়ারি তরুণজ্যোতির : কালিয়াগঞ্জ এর ঘটনায় পুলিসের ভুল এবং নোংরামির জন্য জনতা রেগে আছে এবং তার ফল কি সেটা পুলিস ইতিমধ্যে দেখেছে। বলা হচ্ছিল যে পুলিস শান্ত ছিল কিন্তু পুলিস ব্যারাক থেকে গুলি চালানোর ঘটনাও সামনে এসেছে। একই জিনিস আবার হচ্ছে। পিসির পুলিসকে বলবো সংযত হতে, জনগণ কিন্তু রেগে আছে।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর