বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুরের কয়লা ব্যবসায়ী রাজেশ ঝাঁ (রাজু) গতকাল বাঁকুড়ার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন, আর এর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশের পর রাজেশ ঝাঁকে বাঁকুড়া সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
২০০৫ সালে রাজেশ ঝাঁর বিরুদ্ধে মেজিয়া থানায় কয়লা চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই সময় আদালতে রাজু ঝাঁ নিজে আদালতে হাজিরা না দিয়ে, অন্য একজনকে পাঠিয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর আদালত সেই জালিয়াতি ধরে ফেলে এবং রাজু ঝাঁয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। এরপর রাজুকে বেশ কয়েকবার থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি। শেষমেশ সোমবার বাঁকুড়ার অ্যাডিশনাল সেশন জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে রাজেশ ঝাঁ ওরফে রাজু।
বামদের আমল থেকে দুর্গাপুর-আসানসোল কয়লা খনি এলাকায় ব্যবসা শুরু করেছিল রাজু। এরপর ক্ষমতা পরিবর্তন হয়ে তৃণমূল এলে বেশ কয়েকটি কয়লা খনির মালিকও হয়ে যায় সে। আর এরপর তাঁরই তত্ত্বাবধানে বাড়তে থাকে কয়লা পাচারের রমরমা কারবার। গত বছর ডিসেম্বর মাসে দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল রাজু। এমনকি একুশের নির্বাচনে রাজু ঝাঁ বিজেপির টিকিটের প্রত্যাশীও ছিল বলে জানা যায়। কিন্তু এখন বিরাট এই কয়লা মাফিয়া জেলে।
এর আগে ২০১৬ সালে প্রশাসনের অনুমতিতে আগ্নেয়াস্ত্রর লাইসেন্স নিয়ে তোলাবাজি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল রাজু ঝাঁয়ের বিরুদ্ধে। এমনকি ওনাক আগ্নেয়াস্ত্রর লাইসেন্সে দেওয়ার ক্ষেত্রে উঠে এসেছিল SDO-র নাম।