বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফিল্মি তারকাদের জীবনটাও অনেকটা সিনেমার মতোই। একথা রাজেশ খান্নার (Rajesh Khanna) ক্ষেত্রে অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায়। ‘আনন্দ’ ছবিতে তিনি বলেছিলেন ‘জিন্দেগি বড়ি হোনি চাহিয়ে, লম্বি নেহি’। তাঁর বাস্তব জীবনটা এই সংলাপের সঙ্গেই হুবহু মিলে যায়। আক্ষরিক অর্থেই সুপারস্টারের জীবন কাটিয়েছিলেন রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna)। তবে শেষের দিকে আনন্দ ছবির সঙ্গেই মিলে গিয়েছিল বাস্তবটা।
বাস্তব জীবনে সুখী হননি রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna)
হিন্দি সিনেমার প্রথম সুপারস্টার এর তকমা পেয়েছিলেন রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna)। ছবিতে তাঁর চরিত্র, তাঁর অভিনয়ের সঙ্গে একাত্ম বোধ করতেন দর্শকরা। তাই আকাশ ছুঁয়েছিল তাঁর জনপ্রিয়তা। কিন্তু শোনা যায়, বাস্তব জীবনে খুব জেদি, একগুঁয়ে ছিলেন অভিনেতা। নিজের শর্তে বাঁচতেন জীবনে। তাঁর কিছু অভ্যাস, আচরণের কাছে বাস্তব জীবনে কেরিয়ারের মতো সফল হতে পারেননি রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna)। ডিম্পল কাপাডিয়ার সঙ্গে বিয়েটাও ভেঙে গিয়েছিল তাঁর।
ক্যানসার ধরা পড়ে অভিনেতার: ডিম্পল তাঁর থেকে ছিলেন ১৬ বছরের ছোট। দুই সন্তান হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে সুখী হননি তাঁরা। বিয়েটা ভাঙতেও সময় লাগেনি। ফিল্মি কেরিয়ারে আকাশ ছোঁয়া সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে বিপুল সম্পত্তি বানিয়েছিলেন রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna)। কিন্তু সুখ ছিল না তাঁর জীবনে। উপরন্তু নিজের দোষেই একসময় স্টারডম খোয়ান তিনি। অবসাদে ভুগতে ভুগতে শরীরও ভেঙে পড়ে। ২০১১ তে ধরা পড়ে ক্যানসার।
আরো পড়ুন : চোখে দেখা যায় না, শোনা যায় শুধু কণ্ঠ, ‘বিগ বস চাহতে হ্যায়’… কে এই বিগ বস জানেন?
শেষ সময়ে পাশে ছিলেন স্ত্রী: চিকিৎসার কোনো ত্রুটি রাখা হয়নি। কিন্তু কোনো কিছুতেই কোনো লাভ হয়নি। রাজেশ খান্নার (Rajesh Khanna) ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানিয়েছিলেন, মৃত্যুর এক বছর আগে নিজের ভাগ্যটা মেনে নিয়েছিলেন তিনি। অনেক চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন। শুধু নিজের দুই মেয়েকে নিজের পাশে চাইতেন তিনি। টুইঙ্কল সে সময়ে অন্তঃসত্ত্বা থাকায় বেশি আসতে পারতেন না। তবে রিঙ্কি বাবার কাছেই থাকতেন। ডিম্পলও শেষ সময়ে রাজেশ খান্নার (Rajesh Khanna) সেবা করেছিলেন।
আরো পড়ুন : কুমার বংশ থেকেই আসবে “পরবর্তী সুপারস্টার”! এই স্টারকিডকে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন রাজেশ খান্না
নিজের শেষ সময়ে একটি উইল করে দিয়ে গিয়েছিলেন রাজেশ খান্না। তাঁর জীবনী থেকে জানা যায়, নিজের জন্য কিছুই রাখতে চাননি অভিনেতা। তাঁর ইচ্ছা মতো তাঁর সব সম্পত্তি দিয়ে দেওয়া হয় তাঁর দুই মেয়ের নামে। প্রায় ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছিলেন তিনি। কিন্তু স্ত্রী ডিম্পল পাননি কিছুই।