বাংলাহান্ট ডেস্ক: নামকরণ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য বিবাদ, প্রকল্প ঘিরে শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং আরও অন্যান্য কারণের জন্য রাজ্যে এতদিন আবাস যোজনা (PM Awas Yojana) বন্ধ রেখেছিল কেন্দ্র। তবে সব বিবাদ মিটিয়ে আবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা চালু করা হচ্ছে রাজ্যে। রাজ্য সরকারকে একাধিক শর্ত দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল এই প্রকল্পের নাম প্রধানমন্ত্রীর নামেই রাখতে হবে। এ বার এ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজগঞ্জের বিজেপি জেলা সভাপতি।
রাজগঞ্জের বিজেপি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আবাস যোজনার তালিকায় গরিব মানুষকে বঞ্চিত করা হলে ওই ব্লকের আধিকারিক এবং তৃণমূল নেতাদের গাছে বেঁধে রাখা হবে। একটি বিক্ষোভ জমায়েতে কার্যত এই ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল তাঁকে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক বার এই যোজনা ঘিরে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা।
এছাড়াও শাসক দলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি নিয়ে পছন্দের লোকের নাম যোজনায় তালিকায় রাখার অভিযোগও উঠেছিল। এর ফলে প্রকৃত গরিব মানুষরা সরকারের এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। তাই এ বছর তৃণমূল নেতাদের কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল বাপী গোস্বামীকে। আবাস যোজনা ঘিরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক হারে দুর্নীতি করার অভিযোগ তোলেন তিনি। পাশাপাশি দাবি করেন, এক শ্রেণির আধিকারিকদের সাহায্যেই এই কাজ করছেন শাসক দলের নেতারা।
তিনি বলেন, “দুর্নীতির প্রতিবাদে আমরা জলপাইগুড়ি জেলার বেশ কিছু অঞ্চল অফিসে তালা দিয়ে দিয়েছি। রাজগঞ্জ বিডিও অফিসেও স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলাম, এ বার যদি নামের তালিকায় গণ্ডগোল হয়, তাহলে আমরা ওই আধিকারিক ও তৃণমূল নেতাদের চিহ্নিত করে গাছে বেঁধে রাখব।” বিজেপি-র জেলা সভাপতির এই মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূলও।
রাজগঞ্জের বিজেপি জেলা সভাপতির কথাকে ‘হুতুমপ্যাঁচার নকশা’র সঙ্গে তুলনা করেছেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বাপী গোস্বামীর কথা আর হুতুমপ্যাঁচার নকশা- একই রকম। বিজেপি কোনওদিনই তৃণমূলকে গাছে বাঁধতে পারবে না। গত বিধানসভা ভোটের পর থেকেই ওদের পতন শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে বিজেপি এখন কোমায় রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের পর ওরা মারা যাবে। আমরা তখন বিজেপি-র এক একটা নেতার স্মরণসভার আয়োজন করব।”