বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুদিন আগে একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) বলেছিলেন যে, ‘যারা যোগ্যতার সাথে কাজ করছেন, তাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে AC ঘরে বসে রাজনীতি করা মানুষেরাই আজ সামনের সারিতে উঠে এসেছেন।” তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন ভালো কাজ করতে যায়, তখন তাকে পিছন থেকে টেনে ধরা হয়। অনেকেই এখানে আছেন, যারা শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করছেন।” ওনার এই মন্তব্যের পর শুরু হয়েছিল নতুন জল্পনা।
এরপর কলকাতা জুড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে পোস্টার পড়া শুরু হয়। আর এই ঘটনার জেরে কালীঘাটে জোর অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছিল গিরীশ পার্ক, শ্যামবাজার হাতিবাগান সমেত বিভিন্ন এলাকায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে পোস্টার পড়ে। রাজ্যের মন্ত্রীর সমর্থনে এহেন পোস্টার পড়ার পর রাজ্য রাজনীতিতে আবারও নতুন করে জল্পনা শুরু হয়।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার মমতার সরকারকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেছেন যে, শুধু আট-নয় হাজার পুরোহিতদের নামমাত্র ভাতা দিলেই চলবে না। ওদের অনেক দাবি রয়েছে। সনাতন ধর্মের মানুষেরা যাতে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে, সেটার জন্য সুবন্দোবস্ত করে দিতে হবে। নাহলে কলকাতা অবরুদ্ধ করে দেব।
আর এবার তিনি কথা দিয়েও তৃণমূলের অনুষ্ঠানে হাজির না হয়ে বাড়ালেন জল্পনা। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হাওড়ায় বঙ্গ জননী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে আসার কথা ছিল রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু কথা দিয়েও সেই অনুষ্ঠানে যাননি তিনি। এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে হাওড়া জেলার তৃণমূলের সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা জানান, ওনার হয়ত ব্যাক্তিগত কিছু কাজ রয়েছে, আর সেই কারণেই তিনি আসতে পারেন নি।
তবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে লক্ষ্মীরতন শুক্লার এই মন্তব্য কতটা যুক্তিযত সেটাই সেটা বোঝার বিষয়। কারণ মন্ত্রী মহাশয় এখন দলের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছেন। অনেকটাই রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মতই। আর তিনি আজকের অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে আরও জল্পনা বাড়িয়েছেন।