বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকাল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বিপ্লব দেবের ইস্তফাকে নিয়ে তোলপাড় উত্তর পূর্বের রাজনীতি। আপতত ত্রিপুরাকেই পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী বছরই সে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। বিপ্লব দেবের পর মানিক সাহা ত্রিপুরার মসনদে বসলেও যে মোটেই সহজ হবে না তাঁর রাজত্বকাল, এবার সাফ সেই ইঙ্গিতই দিল তৃণমূল।
বিপ্লব দেবের পদত্যাগের পর স্বভাবতই খানিক টলমলে ত্রিপুরার রাজ্য রাজনীতি। মাত্র কয়েক মাসের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন মানিক সাহা। তাই এবার এই সুযোগকেই কাজে লাগাতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী রাজনীতির তুরুপের তাস খেলেই এবার বাজিমাত করতে চায় তারা। যদিও রাজনৈতিক কারণে যে অস্থিরতা তৈরি করার মোটেই পক্ষপাতি নয় তারা তেমনটাও জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির। ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্যেও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই হাঁটবে দল।
এই প্রসঙ্গে ত্রিপুরার তৃণমূল সভাপতি সুবল ভৌমিক বলেন, ‘আমাদের আদর্শ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি দেখিয়েছেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে ৩৪ বছরের বাম সরকারকে হটানো যায়। তাহলে ত্রিপুরায় অত্যাচারী, বিভাজন সৃষ্টিকারি বিজেপিকে কেন হাটানো যাবে না? ঠান্ডা ঘরে বসে রাজনীতি তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য নয় ৷ ময়দানে নেমে মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলনই লক্ষ্য তৃণমূলের। প্রয়োজনে তৃণমূল কর্মীরা মার খাবেন। তবুও, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে ত্রিপুরার মানুষের জন্য লড়াই করবে। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ।’
অন্যদিকে আবার নয়া মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়েই তোপ দেগেছেন ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই মাত্র তিন মাস মাঠে ময়দানে লড়াই করে আমরা ত্রিপুরাতে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় এসেছি। এর পর গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাধারণ মানুষের কাছে যে সাড়া আমরা পেয়েছি, তাতে বিজেপির মত একটা দল তাদের মুখ্যমন্ত্রীকে বদল করতে বাধ্য হয়েছে। মনে রাখবেন তৃণমূল কংগ্রেস ওখানে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছে। আমরা ওখানে এত মার খেয়েছি তাতেও কিন্তু মাটি ছাড়িনি। আমরা যতদিন না ত্রিপুরায় মানুষকে বাংলার মতো উন্নয়ন উপহার দিতে পারছি, ততদিন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই চালিয়ে যাব।’ সেই সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বদল করে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পারবে না বিজেপি। ১০ মাসের মুখ্যমন্ত্রী কোনও মতেই তৃণমূলকে আটকাতে পারবেন না ত্রিপুরায়।’