বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায়, বিপ্লবের রাজ্যে রাজীবকে গুরু দায়িত্ব দিল তৃণমূল

বাংলা হান্ট ডেস্ক : তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেও পরে আবার ঘরেই ফেরেন তিনি। এহেন দলবদলু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এবার ত্রিপুরায় দলের দায়িত্ব দিল তৃণমূল।

বাংলার রাজনীতিতে অতি পরিচিত মুখ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এই নেতাকে রীতিমতো ‘জেন্টেলম্যান’ বলেই জানত রাজ্যবাসী। ডোমজুড়ের বিধায়ক পদ থেকে শুরু করে একাধিকবার রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রীত্ব, তাঁকে সবই দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু একুশের বিধানসভা ভোটের আগেই ‘খেলা’ ঘুরিয়ে দেন রাজীব। রাতারাতি চাটার্ড ফ্লাইটে দিল্লি উড়ে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান তিনি। এই ঝাণ্ডাবদল অবশ্য ভালো চোখে নেয়নি রাজ্যের মানুষ। নিজেরই বিধানসভা ডোমজুড়ে কার্যতই গোহারা হারেন তিনি। কিন্তু গেরুয়া ছায়াতলে মন টেকেনি রাজীবের।

দল ছাড়লেও কখনওই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানাতে দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকি তিনি বিধানসভাও ছেড়েছিলেন মমতার ছবি হাতে নিয়েই। ফলে তৃণমূলে ফিরতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি তাঁর। দলবদলু এই নেতার দলে ফেরা প্রসঙ্গে কয়েক মাস আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দল ছেড়ে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে যাঁদের নেওয়া হচ্ছে সবাইকে প্রায়শ্চিত্ত করিয়েই তারপর নেওয়া হচ্ছে। যেমন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ত্রিপুরায় জয়েন করানো হয়েছে। ওঁকে বলা হয়েছে ৩ বছর ত্রিপুরায় পড়ে থেকে সংগঠন শক্ত করতে হবে।’

এর পর থেকে অবশ্য সত্যিই ত্রিপুরাতেই পড়ে ছিলেন রাজীব। তাই তাঁর এই দায়িত্বের পূরষ্কারই যে এবার দিল দল এমনটাই মনে করা হচ্ছে। কার্যতই সুস্মিতা দেবকে বাদ দিয়ে রাজীবের হাতে ত্রিপুরার সমস্ত দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়াকে উত্তরপূর্বের রাজনীতির জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল।

প্রসঙ্গত, মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার নেতৃত্বে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ১২ জন বিধায়ক। এবার পাহাড়ি এই রাজ্যে দলের সংগঠন শক্ত করতে ত্রিপুরায় রাজীবের মতই মেঘালয়ে দলের দায়িত্ব মানস ভুঁইয়ার উপর ছাড়ল দল। পাহাড়ি রাজ্যগুলিতে সংগঠন সামলাতে কতখানি সফল হয় বাঙালি নেতৃত্ব সেদিকেই তাকিয়ে বাংলা।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর