প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কতটা আত্মনির্ভর হতে পেরেছে ভারত? জানালেন স্বয়ং রাজনাথ সিং

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বৈদেশিক নির্ভরতা কমিয়ে প্রতিরক্ষা খাতে শুরু হয়েছে আত্মনির্ভর হওয়ার ‘প্রবণতা’। গত কয়েকবছরে দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র ৮৮% আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক অনুষ্ঠানে সোমবার জানালেন এমনটাই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কথায়, এখন ভারতের (India) প্রতিরক্ষা খাতে ব্যবহৃত ৮৮% অস্ত্র তৈরি হচ্ছে দেশের মাটিতেই।

ভারত (India) নিয়ে রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্যর বক্তব্য

পাশাপাশি এদিন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) আরও বলেন, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ভারত (India) বিদেশের বিভিন্ন দেশকে রপ্তানি করেছে ২৩ হাজার কোটি টাকার সামরিক অস্ত্র। ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র ডাক দেন নরেন্দ্র মোদি। এরপর দেশের একাধিক ক্ষেত্র বৈদেশিক নির্ভরতা কমাতে রীতিমত কোমর বেঁধে নেমে পড়ে মাঠে।

আরোও পড়ুন : কতটা নিচে নামলে CPM হওয়া যায়? DNA-তে হিন্দু বিরোধিতা! বৃন্দা কারাটের বই দেখে আক্রমণ রুদ্রনীলদের

বিশেষকরে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক প্রধানমন্ত্রীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ স্লোগানে সাড়া দিয়ে শুরু করে ‘স্বাবলম্বী’ হওয়ার লড়াই। বিদেশ থেকে অস্ত্র আমদানি কমিয়ে বিদেশে অস্ত্র রপ্তানিতে বাড়তি জোড় দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। আইআইটি মান্ডির ১৬তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে সোমবার রাজনাথ সিং দেশের প্রতিরক্ষা খাতের সাফল্যের কাহিনী তুলে ধরেন।

আরোও পড়ুন : মাত্র ৩০ মিনিটেই দিল্লি থেকে জয়পুর! প্রস্তুত দেশের প্রথম হাইপারলুপ” ট্রেনের লাইন, চলবে কত স্পিডে?

তিনি বলেন, “ভারত অস্ত্র উৎপাদনে ৮৮ শতাংশ আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ২৩ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র রপ্তানি করেছি আমরা। ২০২৯ সালের মধ্যে এই রপ্তানির পরিমাণ বাড়িয়ে ৫০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।” এরইসাথে মোদি সরকারের আমলে দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রের অগ্রগতির খতিয়ান তুলে ধরে এদিন রাজনাথ সিং বলেন, “ভারতের টেলিকম ক্ষেত্র এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম। ইউপিআই-এর উদ্যোগ গোটা দেশে ডিজিটাল লেনদেনকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে গিয়েছে।”

Rajnath Singh comments about India.

পাশাপাশি তার আরোও সংযোজন, “প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারত ক্রমশ নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে বিশ্বের লড়াইয়ে। আগামী ৫ বছরে ৩০০ থেকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে ভারতের প্রযুক্তি ক্ষেত্র। ১.২৫ লক্ষেরও বেশি স্টার্টআপ এবং ১১০টি ইউনিকর্ন (এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থাৎ ৮,২০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ কোম্পানি) নিয়ে আমাদের দেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ সিস্টেম হিসেবে বৈশ্বিক লড়াইয়ে নিজেদের তুলে ধরেছি।”

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর