বাংলাহান্ট ডেস্ক : নরেন্দ্র মোদী এবং শি জিনপিং এর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এবার বৈঠক সারলেন দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা (Rajnath Singh)। লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েন শহরে অনুষ্ঠিত এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দীর্ঘদিন ধরে চলা সামরিক অচলাবস্থার অবসান এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। একই সঙ্গে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) এর তরফে চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডং জুনের কাছে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, গালওয়ানের মতো পরিস্থিতি আর যেন না হয়।
চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে বার্তা রাজনাথের (Rajnath Singh)
২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত চিন সেনা সংঘর্ষের জেরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় আলোচনার সমস্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপরেও (Rajnath Singh) একাধিক বার কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে আলোচনা হলেও কোনো সমাধান সূত্র মেলেনি। অবশেষে দীর্ঘ চার বছর পর কেটেছে অচলাবস্থা। গালওয়ান সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের পরই এই প্রথম বৈঠক হল দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের।
কী আলোচনা হল বৈঠকে: জানা যাচ্ছে, বৈঠকে গালওয়ান সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে এড়ানো যায় এবং দুই দেশের সীমান্তে শান্ত পরিস্থিতি বজায় রাখার পক্ষে সওয়াল করেছেন রাজনাথ সিং। একই সঙ্গে তিনি আরো বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে দ্বন্দ্বে না জড়িয়ে পরস্পরের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। পারস্পরিক বিশ্বাস পুনর্গঠনের জন্য একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে দুই দেশই সম্মতি দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরো পড়ুন : মেয়ের জন্মদিনে একাই আয়োজন ঐশ্বর্যর, আরাধ্যার বিশেষ দিনে পাশেও থাকলেন না অভিষেক!
বড় সিদ্ধান্ত দুই বৈঠকে: জানিয়ে রাখি, গালওয়ান সংঘর্ষের পর এলএসি বা লাদাখের উচ্চ হিমালয় রেঞ্জে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গালওয়ান, প্যাংগং, গোগরা হট স্প্রিংস, ডেপসাং এবং ডেমচোক অচলাবস্থা বজায় ছিল দীর্ঘ চার বছর।
আরো পড়ুন : লরেন্সের ভাই গ্রেপ্তার আমেরিকায়! তবুও তার নাগাল পাবে না ভারত, কারণ জানলে চমকে উঠবেন
শেষমেষ গত ২১ শে অক্টোবর একটি চুক্তির মাধ্যমে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত এবং চিন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে দুই দেশের সেনা ২০২০ সালের পূর্ব অবস্থানে ফিরে যাবে। ডেপসাং এবং ডেমচোক থেকেও প্রত্যাহার করা হয়েছে সেনা। দীর্ঘ চার বছর পর ফের নিয়মিত সেনা টহলদারি শুরু হয়েছে সেখানে।