পাকিস্তান প্রায়শই পারমাণবিক বোমার হুমকি দিত, যদিও ভারত কখনই কাউকে পারমাণবিক বোমা দিয়ে ভয় দেখায় না।ভারত হ’ল এমন একটি দেশ যা হুমকিতে নয়, কাজে বিশ্বাস করে। আর আজ ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ একটি বড় বক্তব্য দিয়েছেন, এটি একটি বড় ঘটনার লক্ষণ, যা খুব বড় খবর। পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ভারতের প্রথম নীতি হ’ল ‘No First use’ – “প্রথম ব্যবহার নয়”, অর্থাৎ ভারত কারও বিরুদ্ধে প্রথমে পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করবে না, যদি কোনও দেশ ভারতে পারমাণবিক আক্রমণ করে, তবে ভারত পারমাণবিক আক্রমণে সাড়া দেবে।
উদাহরণস্বরূপ যদি পাকিস্তান আগে থেকে ভারতের উপর পরমাণু হামলা করে তবেই ভারত পাল্টা আক্রমণ করার সিধান্ত নেবে। এই নীতির পরিবর্তন হওয়ার একটা বড়ো ইঙ্গিত সামনে এসেছে। তবে এখন এই নীতিতে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। রাজনাথ সিং আজকের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে ভারত এখন আগ্রাসী নীতির মধ্য দিয়ে যাবে। রাজনাথ সিং আজ বলেছেন যে – ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র নীতি একই থাকবে বা পরিবর্তিত হবে, তার সিদ্ধান্ত এখন পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে হবে।
Pokhran is the area which witnessed Atal Ji’s firm resolve to make India a nuclear power and yet remain firmly committed to the doctrine of ‘No First Use’. India has strictly adhered to this doctrine. What happens in future depends on the circumstances.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) August 16, 2019
এখনও অবধি, ভারতের নীতি ছিল যে ভারত প্রথমে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না। তবে এখন এই নীতিটি থাকবে কি না পরিস্থিতি অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, মোদী সরকার এখন ইঙ্গিত দিয়েছে যে ভারত ডিফেন্স নীতি গ্রহণ করবে না। ভারত এবার অফেন্স নীতি গ্রহণ করতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এই নীতি ভারত গ্রহণ করলে ভারতের ছবি বিশ্বস্তরে দারুণভাবে পরিবর্তন হবে। একই সাথে ভারতের শত্রুদেশগুলির উপর চাপ সৃষ্টি হবে। জানিয়ে দি, রাজনাথ সিং এমন মন্ত্রী যিনি ইঙ্গিত খুব ছোটো ভাষায় দেন এবং কাজের ক্ষেত্রে যোগদান ব্যাপকভাবে ঢেলে দেন। 370 অপসারণের জন্য সরকার ৫ বছর ধরে কাজ করছিল আর সেখানেও উনার বড়ো যোগদান ছিল।